কলকাতা: বিরোধী বিধায়কদের জন্য বরাদ্দ পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের পদে কেন মুকুল রায়কে বসানো হয়েছে? এই পশ্ন তুলে আদালতে গিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। এই বিষয়ে বিধানসভার স্পিকারকে নিজের সিদ্ধান্ত জানানোর সময়সীমা বেধে দিল আদালত। আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে মুকুল রায় নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মুকুল রায় ২০১৭ সালের শেষের দিকে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি শিবিরে। পরে তাঁকে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করে বিজেপি। সেই ব্যক্তিকে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে। জয়ী হওয়ার পরে পুরনো দল তৃণমূলে ফিরে যান বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। সেই ব্যক্তিকেই PAC চেয়ারম্যান বলে ঘোষণা করা হয়। যা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক।
পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটি বা পিএসি চেয়ারম্যানের পদটি বরাদ্দ থাকে বিরোধী শিবিরের বিধায়কের জন্য। তৃণমূলে যাওয়া মুকুল রায়কে সেই পদী আসিণ করে সরকার। যা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। এই অবস্থায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে যুক্তি দেখানো হয় যে মুকুল রায় বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছেম সুতরাং তিনি বিরোধী দলের বিধায়ক। এই যুক্তি উড়িয়ে আদালতে মুকুলের পিএসি চেয়ারম্যানের পদ বাতিলের কদাবি তোলে বিজেপি। মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
এই পিএসি বা সমতুল কমিটির চেয়ারম্যান বা এই প্রকারের পদে কোন ব্যক্তিকে বসানোর অধিকার থাকে বিধানসভার অধ্যক্ষের। এটাই নিয়ম। সেই সঙ্গে অপসারণের ক্ষমতাও সেই স্পিকারের হাতেই থাকে। কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব করে বিষয়টি ঝুলিয়েও রাখতে পারেন। মুকুল রায়ের বিষয়ে যাতে তেমন কিছু না ঘটে সেই কারণে আদালতে গিয়েছিল বিজেপি। যার ভিত্তিতেই মঙ্গলবার স্পিকারকে মুকুল রায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে আদালত।