Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeCurrent NewsKMC Elections 2021: কলকাতা পুরভোটে সবুজ সুনামি, তৃণমূলের দখলে ছোট লালবাড়ির কুরসি

KMC Elections 2021: কলকাতা পুরভোটে সবুজ সুনামি, তৃণমূলের দখলে ছোট লালবাড়ির কুরসি

Follow Us :

কলকাতা: ফের সবুজ সুনামি। ফের কলকাতার কুরসি (KMC Election 2021) তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) দখলে। বিরোধী দল বিজেপি (BJP), সিপিএম (CPM) এবং কংগ্রেসকে (Congress) যোজন মাইল পিছনে ফেলে, ছোট লালবাড়িতে (KMC) ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল নতুন বোর্ড তৈরি করতে চলেছে। ২০১৫ সালে শেষ বার কলকাতা পুরসভায় (KMC Election ) ভোট হয়। সেই ফলাফলকেও ছাপিয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩৪ ওয়ার্ডেই ঘাসফুলের জয় হয়েছে। বিজেপি পেয়েছে তিনটি আসন। বাম এবং কংগ্রেস দু’টি করে ওয়ার্ডে জয় পেয়েছে। নির্দল প্রার্থীরা পেয়েছেন তিনটি আসন।

সংখ্যার বিচারে যদি হিসাব করে দেখতে হয় তো, ২০১৫ সালের নিরিখে কুড়িটি অতিরিক্ত আসন নিজেদের খাতায় যোগ করেছে তৃণমূল। গত পুর নির্বাচনে ১১৪টি ওয়ার্ডে জয় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মোট ভোটের ৫০ দশমিক ছয় ছয় শতাংশ ভোট পেয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এ বার সেই অঙ্ক বিপুল পরিমাণে বাড়িয়ে সত্তর শতাংশেরও বেশি ভোট নিজেদের ঝুলিতে পুরেছে তৃণমূল।

গণনার প্রথম থেকেই জয় নিশ্চিত করেছে ঘাসফুল শিবির। গুয়াহাটি রওনা হওয়ার আগে, কালীঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের এই জয়কে তিনি ‘গণ উৎসবে গণতন্ত্রের জয়’ হিসেবেই দেখছেন। কলকাতাবাসীকে কথা দিয়েছেন, বলেছেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বোর্ড আরও উন্নততর পরিষেবা শহরের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে।’

 

বড়তলা থানার বাইরে ভোটের দিন এক নজিরবিহীন ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। ছাপ্পা ভোট, রিগিং, ভোটলুটের অভিযোগ তুলে থানার বাইরে বিক্ষোভ ধরনায় বসে বিরোধীরা। একই সারিতে পাশাপাশি বিজেপি, বাম এবং কংগ্রেস। ভোট শেষের পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর দলবল নিয়ে ভোট-লুটের নালিশ জানিয়ে আসেন রাজ্যপালকে। পরের দিন সোমবার বামেরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বাইরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। ভোটের ফলে কিন্তু স্পষ্ট বহু জায়গাতেই লড়াই হয়েছে সমানে সমানে। আসনের বিচারে না হলেও বিভিন্ন ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। ৬৫ ওয়ার্ডে দ্বিতীয় হয়েছে বাম ফ্রন্ট। ৪৮ আসনে দ্বিতীয় বিজেপি। ১৬ ওয়ার্ডে দ্বিতীয় কংগ্রেস।

আরও পড়ুন-ঝড়ের নাম ফৈয়াজ-অনন্যা, ভোট মার্জিনে রেকর্ড গড়ে ছোট লাল বাড়িতে তৃণমূলের দুই প্রার্থী

৭২ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের নিরিখে ২২ শতাংশ ভোট বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। বিধানসভা ভোটের তুলনায় ৭ শতাংশ ভোট বেড়েছে বামেদের। কলকাতায় বিজেপিকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা৷ ২০ শতাংশ ভোট কমেছে বিজেপি’র। যেখানে তৃণমূল হেরেছে সেই ১০ ওয়ার্ডেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

মাত্র তিনটি আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বিজেপিকে। ২২, ২৩ এবং ৫০ নং ওয়ার্ড। পঞ্চাশ নং ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ জিতেছেন এক হাজারের সামান্য বেশি ভোটে। তৃণমূল প্রার্থী মৌসুমী রায়, সজলকে সমানে টক্কর দিয়েছেন। সজল ঘোষের জয় মসৃণ হয়নি। ২২ এবং ২৩ জোড়াসাঁকো এলাকার পাশাপাশি দুই ওয়ার্ডে জিতেছেন বিজেপি’র মীনাদেবী পুরোহিত এবং বিজয় ওঝা। ভোটের দিন মীনাদেবী এখানে ছাপ্পাভোটের অভিযোগ করেছিলেন। বিজয় ওঝা এ নিয়ে পরপর তিন বার নিজের ওয়ার্ডে জয় ধরে রাখলেন। এ ছাড়া কলকাতা শহরের বহু ওয়ার্ডে বিজেপি দল হিসেবে তিন নম্বর স্থানে নেমে গিয়েছে। ৭০, ৮৬ এবং ৮৭ বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

আরও পড়ুন-শোভনের শেষ সম্বলটুকুও কেড়ে নিলাম, ভোটে জিতে বললেন স্ত্রী রত্না

৯২ নম্বর ওয়ার্ডে জয় ধরে রাখলেন সিপিআই প্রার্থী মধুছন্দা দেব৷ প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের অভিষেক মুখোপাধ্যায়কে তিন হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত করেছেন তিনি৷ বামেদের হাত ছাড়া হয়েছে নেতাজিনগরের আদিগড় ৯৮ নম্বর ওয়ার্ড৷ এখানে ২৯৪ ভোটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূলের অরূপ চক্রবর্তী৷ ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি৷ শেষ পর্যন্ত তৃণমূলকে হারিয়ে জয় পেয়েছেন সিপিএমের নন্দিতা রায়৷ তবে, দুই দলের ভোট ব্যবধান মাত্র ৯২৷ সকাল বেলা গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই সমানে লড়াই দিয়েছেন ১২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী রিনা ভক্ত৷ দিনে শেষে অবশ্য হেরে গিয়েছেন তিনি৷ তৃণমূলের মালবিকা বৈদ্যের কাছে মাত্র ৯১৪ ভোটে হেরেছেন৷ তুমুল লড়াই হয়েছে শ্যামপুকুর এলাকার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে৷ তৃণমূল কংগ্রেসের মীরা হাজরা এবং সিপিএমের সুজাতা সাহার মধ্যে৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য মাত্র ৪৪ ভোটে জয় পেয়েছে তৃণমূল৷   

RELATED ARTICLES

Most Popular