Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeCurrent NewsKMC Polls: পুরভোটে হিংসা, হাইকোর্টের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের দাবি সিপিএম-বিজেপির

KMC Polls: পুরভোটে হিংসা, হাইকোর্টের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের দাবি সিপিএম-বিজেপির

Follow Us :

কলকাতা: অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে মিটেছে কলকাতা পুরভোট (KMC Election)৷ এমনটাই দাবি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission)৷ কিন্তু কমিশনের দাবি খারিজ করে পুরভোটে (KMC Poll Violance) তৃণমূলের বিরুদ্ধে হিংসা, ছাপ্পা, রিগিং এবং বুথ দখলের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা৷ তাই পুরভোট নিয়ে মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণের (Preservation Of CCTV Visuals) দাবি জানিয়েছে তারা৷ এদিন বামেদের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চকে বলেন, ‘সিসিটিভি অডিটের প্রয়োজন৷ কয়েকটি বুথে দেখা গিয়েছে শাসক দল ৯৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে৷ বিরোধীরা সেখানে একটিও ভোট পায়নি৷ তাই তদন্তের স্বার্থে সমস্ত সিসিটিভি এবং ইভিএম সংরক্ষণের প্রয়োজন৷ সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবকে দিয়ে এই অডিট করানো যেতে পারে৷’ একই দাবি জানান বিজেপির আইনজীবী সুবীর সান্যাল৷ তিনি বলেন, ‘প্রতিটি সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের প্রয়োজন৷ নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানো উচিৎ৷’

কলকাতা পুরভোটে ২৫ শতাংশ বুথে সিসিটিভি ব্যবহারের কথা জানিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তা খারিজ করে সমস্ত বুথেই সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ কমিশনকে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ কিন্তু পুরভোটের দিন হাইকোর্টের নির্দেশ না মানার অভিযোগ তোলে বিরোধীরা৷ ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন, তারাতলা সংলগ্ন গড়াগাছা এলাকার অধিকাংশ বুথেই নেই সিসি ক্যামেরা৷ আবার অনেক বুথে সিসি ক্যামেরা কাগজ দিয়ে ঢেকে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে৷ এদিন বিজেপির দুই আইনজীবী সুবীর সান্যাল এবং বিল্লোদন ভট্টাচার্য আদালতকে জানান, সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো থাকলেও সেগুলো সঠিকভাবে কাজ করেনি৷ কোথাও আউট অফ ফোকাস ছিল৷ কোথাও ঠিক মতো সংযোগ করা হয়নি৷ আবার অনেক জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা কাগজ দিয়ে সেঁটে দেওয়া হয়েছিল৷ তাই তাড়াতাড়ি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণ করা প্রয়োজন৷ না হলে তথ্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ও তখন জানান, পোলিং অফিসারদের ডায়েরিও আদালতে জমা করা উচিৎ৷ তাহলে দেখা যাবে বিরোধী এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন কি না৷

রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং নবান্নের দাবি উড়িয়ে বিরোধীরা এদিন আদালতকে জানান, নির্বাচন মোটেই অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়নি৷ ভোটে বম্ব মারা হয়েছে৷ প্রার্থীরা মার খেয়েছে৷ বিধায়কদের তাঁদের হোস্টেল থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি৷ প্রার্থীরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালেও কমিশন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি৷ যদিও বিরোধীদের দাবি খারিজ করে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ‘আবেদনকারীরা যা যা অভিযোগ করেছেন তাতে কলকাতা পুলিশ একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। পুরসভা নির্বাচনে কোনও অশান্তি হয়নি। অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে৷’ আদালত দু’পক্ষের মন্তব্য শোনার পর রায়দান স্থগিত রাখে৷ জানা গিয়েছে, আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হবে৷ ৬ জানুয়ারি পরবর্তী মামলার শুনানি৷

আরও পড়ুন: মমতার নির্দেশে প্রথম থেকেই কাজে প্রমাণ দিতে চান নতুন মেয়র পারিষদরা

RELATED ARTICLES

Most Popular