কলকাতা: তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ফের দলের সর্বভারতীয় চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন। তিনি চেয়ারপার্সন হলেন সর্বসম্মত ভাবে এবং বিনা প্রতিদ্বন্দিতায়। ওই পদে আর কোনও মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি। বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের (TMC) সাংগঠনিক নির্বাচন (Organisational Election) ছিল। ২০১৭ সালে মমতা দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এদিন দুপুর ১২ টায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়। আগেই প্রকাশিত হয়েছে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। ভোটার হিসেবে তালিকায় ৮০০ জনের নাম রয়েছে। দলের বিধায়ক, সাংসদ, জেলা সভাপতি ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের অনেক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ভোটার।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল বেলা ১২টা পর্যন্ত। যদি চেয়ারপার্সন পদে অন্য কোনও মনোনয়নপত্র জমা পড়ে তার জন্য তা প্রত্যাহারেরও সময় ঠিক করা ছিল। তবে, ওই পদে যেহেতু দ্বিতীয় কোনও মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি তাই মমতাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সর্বসম্মত ভাবে সর্বভারতীয় সভানেত্রী বা চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন। আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া মিটলে সরকারি ভাবে দলের রিটার্নিং অফিসার পার্থ চট্টোপাধ্যায় চেয়ারপার্সন হিসেবে নেত্রীর নাম ঘোষণা করেন। চেয়ারপার্সন হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মালা পরিয়ে সংবর্ধিত করা হয় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। পার্থ জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে ৪৮টি প্রস্তাব জমা পড়েছে।
আরও পড়ুন- Anubrata Mondal-CBI: রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে অনুব্রত
এই সাংগঠনিক নির্বাচনে (TMC Organizational Election) বিজেপি ছাড়া সব বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল তৃণমূল। যদিও কোনও বিরোধী দলই এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় উপস্থিত ছিলেন না। কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার বলেন, ‘তৃণমূলের ভোট দেখতে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ছিল না’। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘কেন যাব ওদের নির্বাচনে’।
এদিনের সাংগঠনিক নির্বাচনে ২০০ জন পর্যবেক্ষক উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, সুবোধ সরকার, শুভাপ্রসন্ন, আবুল বাশারের মতো বহু বিশিষ্ট জন। হাজির ছিলেন কয়েকজন সাংবাদিকও। নির্বাচন কমিশনে নিয়ম মেনে তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, পাঁচ বছর অন্তর অন্তর স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলিকে সাংগঠনিক নির্বাচিত করতে হয়।