জম্মু: ক্লাসের ব্ল্যাকবোর্ডে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখার অপরাধে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে বেদম মারধর। আর তাকে কেন্দ্র করেই হুলুস্থুল জম্মুর কাঠুয়া জেলায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে কাঠুয়ার বানি এলাকায় স্থানীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ওই শিক্ষক এবং প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে জম্মুর বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বানি এলাকায় সরকারি স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্র ক্লাসের বোর্ডে জয় শ্রীরাম লিখে রেখেছিল। পড়াতে এসে ব্ল্যাকবোর্ড দেখে খেপে লাল ওই শিক্ষক। তিনি ‘দোষী’ ছাত্রকে শনাক্ত করে বেদম মার মারতে মারতে প্রিন্সিপালের কাছে নিয়ে যান। শুনে প্রিন্সিপালও ওই ছাত্রকে মারতে শুরু করেন। মারের চোটে ওই ছাত্র এতটাই জখম হয় যে, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, ছাত্রটির শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৮ অগাস্ট, সুখবর আসতে চলেছে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের
এরপরেই উর্দু শিক্ষক ফারুক আহমেদ এবং প্রিন্সিপাল মহম্মদ হাফিজের শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নেমে পড়েন অভিভাবকরা। সেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে জম্মুর বিভিন্ন অঞ্চলেও। স্কুলের অন্য এক শিক্ষক পুলিশকে জানিয়েছেন, বোর্ডে ওই লেখা দেখেই ফারুক আহমেদের মাথায় রক্ত চড়ে যায়। এলোপাথাড়ি মারতে থাকেন ছেলেটিকে। তারপর তাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যান প্রিন্সিপাল হাফিজের ঘরে। তিনি উগ্রচণ্ডার মতো পিটতে থাকেন। দুজনের মারে অসুস্থ হয়ে পড়ে ছেলেটি। তখন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ছেলেটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতন সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। কিন্তু এই ঘটনার পর থেকেই শনিবার জম্মুর বিভিন্ন রাস্তায় মিছিল বের হয়। স্কুল পড়ুয়া, অভিভাবকরা ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন বিষয়টিকে ইস্যু করে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে।