Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeদেশAgnipath Scheme: ‘অগ্নিপথে’ জাত-ধর্ম কেন, বিতর্কে দেশ তোলপাড়, বিদ্রূপ সরকারপক্ষের

Agnipath Scheme: ‘অগ্নিপথে’ জাত-ধর্ম কেন, বিতর্কে দেশ তোলপাড়, বিদ্রূপ সরকারপক্ষের

Follow Us :

নয়াদিল্লি: ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পে ফের ঘৃতাহুতি। এবার আম আদমি পার্টির সাংসদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে বললেন, আপনি অগ্নিবীর তৈরি করতে চাইছেন, নাকি জাতিবীর! আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের আবেদনে জাতি ও ধর্মের শংসাপত্র চাওয়া নিয়ে এই ভাষাতেই কাঠগড়ায় তুললেন মোদি সরকারকে। তাঁর অভিযোগ, ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম সেনাবাহিনীতে নিয়োগে জাত-ধর্মের বিবরণ চাওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, দেশের সামনে মোদি সরকারের কুৎসিত মুখ আরও একবার ফুটে বেরল। শুধু সঞ্জয় সিং নন, বিহারে বিজেপির জোটসঙ্গী জেডিইউ নেতা এবং সংসদীয় বোর্ডের জাতীয় সভাপতি উপেন্দ্র কুশওয়া এবং আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদবও একই প্রশ্ন তুলেছেন। এই অভিযোগের পরপরই সরকারপক্ষ থেকে জবাবে বলা হয়েছে, সঞ্জয় এবং তাঁর দল আত্মঘাতী গোল করে ফেলেছেন।

মঙ্গলবার সকালে এক টুইটে সঞ্জয় সিং অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের ফর্মের ছবি দিয়েছেন। সেখানে তিনি দেখিয়েছেন যে, প্রার্থীদের কাছ থেকে জাতি ও ধর্মের শংসাপত্র চাওয়া হয়েছে। সঞ্জয় লিখেছেন, তাহলে কি বুঝতে হবে প্রধানমন্ত্রী মোদি চান না দেশের দলিত, পিছড়েবর্গ এবং আদিবাসী যুব সম্প্রদায়ের বাহিনীতে যোগদানের অধিকার নেই।

তাঁর এই অভিযোগের জবাবে সরকারপক্ষ জানিয়েছে, এটা নতুন কিছু নয়। ব্রিটিশ আমল থেকেই এটাই হয়ে এসেছে। এমনকী স্বাধীনোত্তর ভারতে ১৯৪৯ সালে একটি বিশেষ সেনা নির্দেশে একে সরকারিভাবে সিলমোহর দেওয়া হয়। মোদি সরকার নতুন কিছু করেনি। এই রীতি দেশে প্রায় ৭ দশক ধরেই চলে আসছে। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে সেনাবাহিনীর তরফে সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়, এই পদ্ধতির মধ্যে বিশেষ কোনও উদ্দেশ্য নেই। এটা শুধুমাত্র প্রশাসনিক ও কাজের সুবিধার জন্য চাওয়া হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। এক ব্যাখ্যায় বাহিনী জানায়, বিভিন্ন অভিযানে বা যুদ্ধে শহীদ হওয়া সেনানীদের শেষকৃত্য যাতে তাঁদের ধর্ম ও রীতি অনুযায়ী হয়, এজন্যই এই রেকর্ড রাখা হয়।

RELATED ARTICLES

Most Popular