কলকাতা: করোনা পর অ্যাডিনোভাইরাস (Adenovirus) উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। অ্যডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু শহরে (Kolkata)। রবিবার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পার্কসার্কাসে এক আড়াই বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জ্বর এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে সপ্তাহ খানেক ধরেই অসুস্থ ছিল ওই শিশুটি।
বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে আরও ২২টি শিশু। বি সি রায় হাসপাতালে ভর্তি ৪০-এর বেশি শিশু। বেশ কয়েকটি হাসপাতালে লিভার ক্লিনিক চালু করেছে রাজ্য সরকার। ৫০০টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল নাইসেডে। এর মধ্যে অ্যডিনোভাইরাস ৩২ শতাংশ, ১২ শতাংশ রাইনোভাইরাস এবং ১৩ শতাংশ প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরা পড়েছে। এর আগেও ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে লেকটাউনে ৫ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। কোভিডের পাশাপাশি অ্যাডিনোভাইরাসে শিশুটি আক্রান্ত ছিল বলে সন্দেহ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Sonarpur Incident: প্রেমিক অন্য নারীতে আসক্ত, সন্দেহে ভিডিয়ো কল করে আত্মঘাতী প্রেমিকা
রোগীর আত্মীয় মহাম্মদ সাইফুল্লাহ জানান, উস্তির বাসিন্দা ছয় বছরের রোহন মন্ডল। গত কয়েকদিন ধরে জ্বর ও কাশিতে ভুগছিল। এখন তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ক্রিটিক্যাল কেয়ার। কিন্তু, পার্ক সার্কাসের একটি শিশু হাসপাতালে এসে বেড না পেয়ে ফিরতে হচ্ছে রোহনকে।
শনিবার সকালে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম সমস্ত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, শহরের মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। ফের দু’বছর পর ফিরে আসা অ্যাডিনোভাইরাসের মিউটেশনের মাধ্যমে জিনগত কোনও পরিবর্তন ঘটেছে কি না, তা জানার চেষ্টা শুরু করেছেন তাঁরা।
কলকাতার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলাতেও জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় বাড়ছে। ভাইরাস মোকাবিলায় তৎপর হয়েছে রাজ্যও। এ নিয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। শিশুরা অসুস্থ থাকলে তাদের স্কুলে না পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ৩-৫ দিন জ্বর থাকলে এবং শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে মাস্ক ব্যবহারেরও নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।