Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeকলকাতারাজ্যে ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ

রাজ্যে ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ

Follow Us :

কলকাতা: রাতারাতি রাজ্যের ১৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Universities) অন্তর্বর্তী উপাচার্য (Vice Chancellor) নিয়োগ আচার্য তথা রাজ্যপালের (Governor)। যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যহীন ছিল সেখানে উপাচার্য নিয়োগ করল রাজভবন। কিছুদিন আগে রাজভবন ইঙ্গিত দিয়েছিল প্রয়োজনে আচার্যই এই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকবেন। আর রবিবার গভীর রাতে এই নিয়োগের কথা জানালেন সিভি আনন্দ বোস। দীর্ঘদিন উপাচার্যহীন থাকায় আটকে ছিল প্রশাসনিক কাজ, ডিগ্রি, সার্টিফিকেট পাচ্ছিলেন না পড়ুয়ারা। সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হলেন গৌতম চন্দ্র, মাকাউটে উপাচার্য হলেন তাপস চক্রবর্তী, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হলেন ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ি, উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হলেন দেবব্রত বসু। এছাড়া ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যানিম্যাল এন্ড ফিশারিজ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য পদের দায়িত্ব সামলাবেন শ্যামসুন্দর দানা। 

উল্লেখ্য উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। সম্প্রতি আচার্য তথা রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন উপাচার্য না থাকায় আচার্যই উপাচার্য। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেছিলেন যাহাই চাল ভাজা তাহাই মুড়ি।  তবে আচার্য-উপাচার্য বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলে রাজ্যপাল বলেন, আচার্য উপাচার্য হিসেবে কাজ করেননি। করবেন না, করতে পারেন না এবং করা উচিত নয়। কিছু ক্ষেত্রে যেখানে পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রির শংসাপত্র পেতে সমস্যায় পড়েছেন, যার ফলে তাঁরা চাকরি পর্যন্ত হারাতে পারেন, আমি বলেছিলাম, শুধুমাত্র সেই সব ক্ষেত্রে, শিক্ষার্থীদের সাহায্যের জন্য আচার্য হস্তক্ষেপ করবেন। এবং শংসাপত্রগুলি ছাড়ার ব্যবস্থা করবেন। এরপর আকস্মিকভাবে এতগুলো উপাচার্যকে একসঙ্গে নিযুক্ত করার খবর সামনে এসেছে। কিছু দিন আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়।

আরও পড়ুন: রাজ্যে দুর্যোগের মেঘ, কলকাতা সহ ১১ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস 

উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক ক্ষমতার অধিকারী। উপাচার্য না থাকলে অনেক কিছুর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হয়। ফলে এই নিয়োগের ঘটনায় উপকৃত হবেন সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। উল্লেখ্য, শনিবার রাজভবনের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন উপাচার্য। সব তাঁর নির্দেশে হবে। রেজিস্ট্রার, সহ-উপাচার্য তাঁর নির্দেশ মেনে চলবেন। রবিবার এর ব্যাখ্যাও দেন রাজ্যপাল। তাঁর বক্তব্য, এটা আচার্যের নির্দেশিকা নয়। সংবিধান, ইউজিসি আইন এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ভিত্তিতে এটি তৈরি করা হয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular