ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। কয়েক লক্ষ মানুষ আকাশের নীচে বাস করছেন। হাজার হাজার গ্রাম বিদ্যুৎহীন। বুধবার সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ড্রেজার নৌকা থেকে নিখোঁজ চার মৎস্যজীবীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮। প্রায় ২ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দুঃসহ দিন কাটাচ্ছেন।
প্রায় আট ঘণ্টা পর এদিন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে ঢাকা-ময়মনসিংহ জাতীয় সড়কে। আজ, বুধবার ভোর ৫টা থেকে ময়মনসিংহমুখী সড়কে টঙ্গীর মিলগেট থেকে রাজধানীর বনানী এবং মিলগেট থেকে গাজিপুরের বোর্ডবাজার পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। দুপুর ১টার দিকে তা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। গত সোমবারের টানা বৃষ্টিতে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। মঙ্গলবারও সকালের দিকে বৃষ্টি হয়। এর মধ্যে সড়ক মেরামত না করায় এদিন ভোর থেকেই দেখা দেয় তীব্র যানজট।
আরও পড়ুন: Arvind Kejriwal: টাকার উপর লক্ষ্মী-গণেশের ছবি ছাপার আর্জি কেজরিওয়ালের
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে শরিয়তপুরের বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে জেলার সব জায়গায় এখনও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। আজ, বুধবার বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলার ৪৬ হাজার পরিবার বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। তবে সন্ধ্যার মধ্যে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে শরিয়তপুরের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়।
বিকেল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো বাতাস বইতে শুরু করে। এ সময় জেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছের ডালপালা ভেঙে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের লাইনের উপর পড়ে। ৩৬টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। হেলে পড়েছে ৪৫টি খুঁটি, ২৮টি ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে।