আসানসোল: সিবিআই আদালত (CBI Court) থেকে গ্রেফতার কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্র (Bikash Mishra)। বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তী নিজের এজলাস থেকে বিকাশকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। তারপর বিচারপতির নির্দেশে সিবিআই সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার (Arrest) । তাকে চার দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে জামিন পেয়েছিল বিকাশ । সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যায় সিবিআই। সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে বিকাশকে হেফাজতে পাওয়া গেলে কয়লা পাচার কাণ্ডের (Coal Scam) তদন্ত (Investigation) অনেকটাই এগনো যাবে। সিবিআই অনেক তথ্য সুপ্রিম কোর্টে জমাও দেয়। সুপ্রিম কোর্ট শুনানির পর চার দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ১০ এপ্রিল এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও সিবিআই তাকে হেফাজতে নিতে পারেনি। ইতিমধ্যে কেটে গিয়েছে বেশ কেয়ক মাস। সিবিআই আদালতের মধ্যেই বিকাশ মিশ্রকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চার দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন। সিবিআই আদালত থেকেই বিকাশকে নিজেদের হেফাজেত নেয়।
আরও পড়ুন: Supreme Court | Arvind Kejriwal | দিল্লির পরিষেবা সচিবকে সরাতে নারাজ কেন্দ্র
এদিন আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে ভর্ৎসনা করেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে অমান্য করা হচ্ছে বলেন তিনি। ওই ঘটনায় পরবর্তী শুনানি আগামী ১৬ তারিখ। বিকাশ বিচারপতির কাছে আরও কিছুটা সময় চেয়ে আর্জি জানিয়েছিলেন। বিচারপতি তাতে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে অমান্য করার সাধ্য আমার নেই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে বহাল রাখাই আমার দায়িত্ব। আর কোনও কথা শুনতে চাই না। কয়লা পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার উমেশ কুমারকে বিচারপতি জিজ্ঞাসা করেন, আপনারা হেফাজতে নিতে প্রস্তুত? তারপরে সিবিআই তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
এর আগে কয়লা পাচারে বিকাশ মিশ্র (Bikash Mishra) মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে কীভাবে আসানসোল (Asansol) জেল অভিযুক্তকে হাসপাতালে রাখে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt) । সিবিআইকে বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোটা ঘটনার দিন-তারিখ ধরে একটি সূচি জমা দিতে হবে আদালতকে। আদালত অবমাননার মামলায় প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারও হাজির ছিলেন। আদালতের বক্তব্য ছিল, যদি প্রথাগত চিকিৎসার দরকার না হয়, তাহলে বিকাশকে হাসপাতাল থেকে জেলে পাঠাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি। আদালতের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাব নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। এটা তদন্ত বানচাল করার একটা অপচেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।