কলকাতা: বেনিয়ম করে বা অবৈধভাবে নিয়োগ হয়েছে প্রমাণ হলে সেই সব চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যত কী হবে? এই প্রশ্ন এখন অনেকের মনেই। এবার তাৎপর্যপূর্ণভাবে কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) বিচারপতি গ্রুপ ডি কর্মীদের মামলায় মন্তব্য করলেন, বিতর্কিত নিয়োগ পাওয়াদেরও বক্তব্য জানানোর সুযোগ পাওয়া উচিত। বৃহস্পতিবার একটি মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Biswajit Basu) মন্তব্য করেন, যে দেশের আইন আজমল কাসভকে (Ajmal Kasv) তার বক্তব্য জানানোর সুযোগ দেয়, সেখানে এই বিতর্কিত নিয়োগ পাওয়াদেরও বক্তব্য জানানোর সুযোগ পাওয়া উচিত।
এদিন সিবিআইয়ের (CBI) হিসেব মতো বেআইনি নিয়োগ পাওয়া ১৬৯৮ জনের বিস্তারিত তালিকা আদালতে জমা পড়ে। সেই তালিকা জেলাগুলোর ডিআইদেরও পাঠাতে হবে বলে আদালত নির্দেশ দেয়। সেখানে তাঁদের নিয়োগ (Recruitment) নিয়ে যে মামলা হয়েছে, সেই তথ্য জানাতে হবে ওই বিতর্কিত কর্মীদের।
আরও পড়ুন: Lalan Seikh Case: লালন মামলায় সিআইডির বিরুদ্ধে আদালতে অসহযোগিতার অভিযোগ সিবিআইয়ের
আগামী ২৪ জানুয়ারি ওই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন তাঁদের ব্যাপারে পরবর্তী নির্দেশ দেবে আদালত (Court)। এর আগে মৌখিক ভাবে আজই ওই কর্মীদের কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিতে চেয়েছিল আদালত। কিন্তু, রাজ্যের (State) আইনজীবী (Lawywr) বিস্বব্রত বসুমল্লিক (Biswabrato BasuMallick) তাতে আপত্তি করেন। তিনি জানিয়েছেন, আজই এটা করলে বহু স্কুলে ঘণ্টা বাজানো, ক্লাসরুমের তালা খোলার লোক পাওয়া যাবে না। তার পরে এদিন আর কোনও কড়া নির্দেশ দেয়নি আদালত।