নরেন্দ্রপুর: কাঁকিনাড়ার পর এবার নরেন্দ্রপুর। খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে আক্রান্ত শৈশব।
কতটা নির্মম হলে ফুলের মতো শিশুর উপর বিনা কারণে বোমা ছুড়তে পারে কেউ? খেলার মাঠে দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমার আঘাতে জখম হয়ে পাঁচ শিশু হাসপাতালে ভর্তি। শুক্রবার নরেন্দ্রপুর থানার দাসপাড়ায় ওই ঘটনাক ঘিরে শোরগোল পড়েছে সর্বত্র। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার জেরে আতঙ্কিত। ঘটনায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে সিপিএম-বিজেপি। রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ইদানীং বেশ কয়েকটি জায়গায় শিশুদের বোমার (bomb) আঘাতে জখমের ঘটনা ঘটছে। পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটছে তা তদন্ত (investigation) করে দেখতে হবে।
আরও পড়ুন Murshidabad: মুর্শিদাবাদে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বড়ঞা থানার ওসিকে শোকজ পুলিশ সুপারের
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নরেন্দ্রপুরে জখম পাঁচজনেরই বয়স ১০ থেকে ১২ বছরেরর মধ্যে। ফাঁকা মাঠে বাচ্চারা খেলতে গিয়েছিল। সেখানেই এক পাশে মজুত ছিল বেশ কয়েকটি বোমা। খেলা ফেলে বাচ্চাগুলো সেই বোমা দেখতে গিয়েছিল। তাতেই রক্তচক্ষু দেখাতে থাকে কাছেই থাকা কিছু যুবক। বাচ্চাদের চলে যেতে বলে হুমকি দেয় তারা। কিন্তু, তাতেও নাবালকরা সরতে রাজি হয়নি। ওই যুবকরা এরপর বাচ্চাদের দিকে বোমা ছুড়ে দেয়। দুটো বোমা ওদের গায়ে ফাটে। যন্ত্রণায় লুটিয়ে পড়ে ওই শিশুরা। বোমার শব্দ ও আর্তনাদ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। তাদের দেখে ওই যুবকরা পালায়। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। পুলিশকে ( police) দেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। শিশুদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খুনের চেষ্টার (attempt to murder) মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
গত বুধবারই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কাঁকিনাড়ায় বল ভেবে বোমায় হাত দেওয়ায় তা ফেটে গিয়ে এক শিশু মারা যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় অপর এক শিশু হাসপাতালে ভর্তি। তার হাত উড়ে গিয়েছে। তারপরেও ভাটপাড়ায় বেশ কয়েকটি বোমা উদ্ধার হয় বৃহস্পতিবার।