পলাতক (Fugitive) হীরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে এবার নতুন করে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই (CBI)। একইসঙ্গে নামজাদা গয়না প্রস্তুতকারী সংস্থা নক্ষত্র এবং গীতাঞ্জলির বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ। একাধিক ব্যাঙ্কের কনসর্টিয়াম-এর থেকে মোট ৬৩৭০ কোটি টাকা নিয়ে দেশ ছেড়েছিল ওই হীরে ব্যবসায়ী।
নানা দেশে নাগরিকত্বের চেষ্টায় ঘুরে বেড়িয়েও কোনও সুবিধা করতে না পেরে শেষে অ্যান্টিগুয়ায় ঘাঁটি গাড়ে মেহুল চোকসি (Mehul Choksi)। আর দেশের মধ্যে মেহুল কাণ্ড নিয়ে নানা সমালোচনার মুখে কেন্দ্রীয় সরকার অ্যান্টিগুয়ার (Antigua)উপরেও চাপ তৈরি করে বুঝিয়ে দেয় পলাতক ওই ব্যবসায়ীকে দেশে প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আপাতত ডোমিনিকায় বন্দি অবস্থায় আছেন পিএনবি কেলেঙ্কারির (PNB Scam) মূল অভিযুক্ত। কিন্তু ভাগ্নে নীরব মোদিকে সঙ্গে নিয়ে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার যে বিপুল কেলেঙ্কারিতে তিনি জড়িয়ে পড়েছিলেন তারপর দেশে ফিরলে আইনের জালে যে তাঁকে কতটা জড়িয়ে পড়তে হবে তা বিলক্ষণ জানেন মেহুল চোকসি। এর আগে মেহুলকে দেশে ফেরানোর মরীয়া চেষ্টায় অ্যান্টিগুয়ায় প্রাইভেট জেট উড়িয়ে চলে গিয়েছিল সিবিআইয়ের টিম। কিন্তু ধুরন্ধর মেহুলকে ফেরত আনার ব্যাপারে বড় একটা সুবিধা করতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
উল্টে মেহুল চোকসির আইনজীবীরা পাল্টা অভিযোগ করেন, ভারত থেকে আসা কিছু সন্দেহভাজন লোকজন তাঁদের মক্কেলকে আপহরণ করে ডোমিনিকায় নিয়ে যায়। এর আগে মে মাসে মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে নতুন করে প্রতারণার অভিযোগ আনে সিবিআই। ওই ক্ষেত্রে মেহুলের প্রতারণার (Fraud) শিকার হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড (ইফকি)। এই সংস্থা কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ মন্ত্রকের (Finance Ministry) আওতাভুক্ত। মেহুলের বিরুদ্ধে সংস্থাটির সঙ্গে ২২ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। এর আগে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ ছিল মেহুলের বিরুদ্ধে। তবে সেই ঘটনায় একা মেহুল নন, জড়িত ছিলেন তাঁর ভাগ্নে নীরব মোদিও।