বার্লিন: পোল্যান্ডের অনুরোধে জার্মানি (Germany has approved Poland’s request) ইউক্রেনকে (Ukraine) যুদ্ধ বিমান দেওয়ার অনুমোদন দিল। ওই যুদ্ধ বিমানগুলি একসময় পোল্যান্ডকে দিয়েছিল জার্মানি (Germnany)। তা অন্য কোনও দেশকে দিতে হলে জার্মানির অনুমতি নিতে হয়। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার তথ্য অনুযায়ী জার্মানি অনুমোদন দিয়েছে পাঁচটি পুরনো মিগ ২৯ যুদ্ধ বিমান দেওয়ার জন্য। যাতে রাশিয়ার অভিযানের বিরুদ্ধে বায়ু সেনার ক্ষমতা (Air Power) বাড়ে ইউক্রেনের। জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই তথ্য জানিয়েছে। জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস (German Defence Minister Boris Pistorius) বলেন, বৃহস্পতিবারই অনুরোধ এসেছিল। ওই দিনই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জার্মানিকে নির্ভর করা যায়।
পুনরায় দুই জার্মানি (Germany) এক হওয়ার সময়ে ১৯৯০ সালে জার্মানি ২৪টি মিগ ২৯ যুদ্ধ বিমান পূর্ব জার্মানি থেকে পেয়েছিল। সেসময় সবচেয়ে আধুনিক যুদ্ধ বিমান ছিল মিগ ২৯ যুদ্ধ বিমান। ২০০৪ সালে বার্লিন ২২টি যুদ্ধ বিমান দিয়েছিল পোল্যান্ডকে। বাকি একটি যুদ্ধ বিমান ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। একটি মিউজিয়ামে রাখা আছে। নিয়ম অনুযায়ী তৃতীয় কোনও দেশে পাঠাতে হলে জার্মানিকে অনুমতি নিতে হয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি (Vlodymyr Zelensky) গত সপ্তাহে ওয়ারশ পরিদর্শন করেন। তিনি অনুরোধ করেন যাতে পোল্যান্ড কিভে যুদ্ধ বিমান দিতে পশ্চিমী জোটের সঙ্গে যোগ দিক। ইউক্রেন মনে করছে রাশিয়া আক্রমণের মাত্রা বাড়াবে। সেই প্রেক্ষিতে ইউক্রেন বায়ু সেনার ক্ষমতা বাড়াতে চায়। যাতে পাল্টা আক্রমণের মাত্রা বাড়াতে পারে ইউক্রেন।
এখনও পশ্চিমী দেশগুলি আধুনিক এফ ১৬-র মতো বিমান ইউক্রেনকে দিতে আগ্রহী নয়। কিন্তু কিছু দেশ মিগ ২৯ জেট দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া (Russia) ইউক্রেনে হামলা করে। অভিযান (Invasion) চালায়। শক্তিশালী রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিভিন্ন দেশের কাছে সাহায্য চায় ইউক্রেন। তার সাহায্যে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেন। আক্রমণও চালিয়েছে তারা। এখন জোর কদমে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধে ইউক্রেনের বিদ্যুত পরিষেবা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।দুই দেশের যুদ্ধ থামানোর জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে বিশ্বের বহু দেশ। ভারত জানিয়েছে, যে কোনও জায়গায় আলোচনা প্রক্রিয়ার জন্য মধ্যস্থতা করতে রাজি ভারত। তা সত্ত্বেও যুদ্ধ থামার কোনও ইঙ্গিত নেই। বরং যুদ্ধের দিন বেড়ে চলেছে। যুদ্ধে পশ্চিমী দেশগুলি ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে। যুদ্ধের জন্য অস্ত্র সরবরাহ করেছে তারা।