কলকাতা: বকেয়া মহার্ঘ ভাতার (DA) দাবিতে শহীদ মিনার (Shahid Minar) চত্বরে আন্দোলনকারীদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মন্তব্যের প্রতিবাদ করে কর্মবিরতি পালন করলো সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ (Sangrami Joutho Manch)। বৃহস্পতিবার রাজ্যের সরকারি অফিসগুলিতে (Government Office) কর্মচারীরা (Employees) হাজির থাকলেও কাজ করেননি অনেকে। তাঁরা অফিসে হাজির হয়েও কর্মবিরতি পালন করেছেন। বিশেষ করে এর প্রভাব পড়েছে আদালতগুলিতে। সেখানে সরকারি কর্মচারীদের (Government Employees) কর্মবিরতির জেরে কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে অনেক জায়গায়। মোটের উপর সরকারি অফিসগুলিতে কর্মীদের উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। তবে কর্মবিরতি (Strike) সফল বলেই দাবি করেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে শহীদ মিনার চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ করছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ বা বলা চলে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ওই আন্দোলনকারীদের অনেকে চিরকুটে চাকরি পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মন্তব্যের প্রতিবাদে ও বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে কর্মবিরতি পালন করল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। কলকাতাতে নব মহাকরণ, খাদ্য ভবন সহ একাধিক সরকারি জায়গায় মিছিল ও বিক্ষোভ সংঘটিত হয়। কর্মবিরতি সফল বলে দাবি করেছে ওই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্য অজয় সেনাপতি এদিন এমনই জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari | Supreme Court | সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা শুভেন্দুর, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আবেদন খারিজ
এবারের কর্মবিরতি রোধে তেমন কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি নবান্ন। তাই সরকারি কর্মচারীরা হাজিরা খাতায় সই করেই কর্মবিরতি পালন করলেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২০ ও ২১ তারিখে মহার্ঘভাতার দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছিল তাদের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। ১০ মার্চ প্রশাসনিক ধর্মঘট পালন করেছিল। দুবারই নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল কোনও সরকারি কর্মচারী যদি কর্মবিরতিতে বা প্রশাসনিক ধর্মঘটে শামিল হয়ে কর্তব্য থেকে বিরত থাকেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এমনকী চাকরিজীবন থেকে একটি দিন কেটে নেওয়ার কথাও সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল। এদিকে কর্মবিরতির পাশাপাশি নিজেদের দাবি আদায়ে আগামী ১০ ও ১১ এপ্রিল দিল্লি যন্তর মন্তরে অবস্থান বিক্ষোভ করবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। একইসঙ্গে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে নিজেদের দাবি তুলে ধরবেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। সরকারি কর্মচারীদের দাবি, তাঁদের কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘভাতা দিতে হবে। এখন ৬ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তাঁদের দাবি, প্রাপ্য আরও ৩৬ শতাংশ ডিএ দিতে হবে রাজ্যকে। কেন্দ্রীয় সরকার তাদের কর্মচারীদের জন্য ৪২ শতাংশ ডিএ-র ঘোষণা করে দিয়েছে। যা কার্যকর হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে।