কৃষক আন্দোলনের চাপে পিছু হটতে বাধ্য হল হরিয়ানার বিজেপি শাসিত সরকার। সংরক্ষণের অভাবে শস্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় সরকারি উদ্যোগে তাড়াতাড়ি ধান সংগ্রহের কাজ শুরু করার আর্জি জানাচ্ছিলেন কৃষকরা। কিন্তু সরকারি টালবাহানায় ক্ষুব্ধ কৃষকরা শেষে তাঁদের দাবির সমর্থলে ২১ ঘন্টারও বেশি ৪৪ লম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন।
অবশ্য উচ্চ আদালতের নির্দেশে রাজ্য প্রশাসন কৃষকদের দাবি মেনে নেওয়ায় ২১ ঘন্টা পরে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। অবরোধ-বিক্ষোভের জেরে কুরুক্ষেত্রের আশেপাশে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দীর্ঘক্ষণ ধরে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়েছিল।
এদিকে টানা অবরোধের জেরে জল গড়ায় উচ্চ আদালতে। শেষে মাঝ রাতের শুনানিতে, পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় যে পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসনের অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। আইনশৃঙ্খলার আরও অবনতি যেন না হয় সে বিষয়টি মাথায় রেখে রাজ্যকে আদালত সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পরামর্শ দেয়। হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল জোর করে অবরোধ ওঠানো শেষ বিকল্প হওয়া উচিত এবং তাও যদি না প্রশাসনের কাছে অন্য কোনও উপায় না থাকে। কিন্তু জাতীয় সড়ক তাড়াতাড়ি অবরোধমুক্ত করতে হবে।
এরপরেই রাজ্য প্রশাসনের উদ্যোগে কুরুক্ষেত্রের পুলিশ সুপার আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওযা হয়েছে অবিলম্বে কৃষি বাজারে শস্য সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হবে। কারণ কৃষকদের মূল অভিযোগ ছিল বিভিন্ন কৃষি বাজারে পড়ে থাকা শস্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আর ১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে ধান সংগ্রহের কাজ। এবার ফসন বেশি হওয়ায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। কুরুক্ষেত্রের পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিং ভোরিয়া জানিয়েছেন, সমস্ত আলোচনাই অত্যন্ত ভাল আবহে হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সব কটি দাবির নিষ্পত্তি করা গিয়েছে।