কলকাতা: ১৭ মে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থীদের হ্যারিকেন মিছিলের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এবার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, এর আগে গত ৬ মে আদালতের অনুমতি নিয়েই ডিএ আন্দোলনকারীরাও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় মিছিল করেছিলেন।
কিন্তু গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থীদের এই হ্যারিকেন মিছিল একটু আলাদা ধরনের হতে চলেছে। ডিএ আন্দোলনকারীদের মিছিল হয়েছিল ভরদুপুরে। গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল বুধবার হওয়ার কথা ভরসন্ধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় হাতে হ্যারিকেন নিয়ে মিছিল করবেন গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা হ্যারিকেন মিছিলেরই আবেদন করেছিলেন। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তাতে সায় দিয়েছেন। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি দেন তিনি। মিছিলের রুটও বলে দিয়েছে আদালত। হাইকোর্ট বলেছে, শহিদ মিনার থেকে মিছিল শুরু হবে। জওহরলাল নেহরু রোড ধরে এক্সাইড হয়ে হাজরা মোড়ে পৌঁছবে সেই মিছিল। এরপর হাজরা দিয়ে তা ডানদিকে গিয়ে হরিশ মুখার্জি রোড হয়ে কালীঘাট থানার সামনে শেষ হবে। তবে বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করতে হবে। কোনওরকমের উস্কানিমূলক কথা বলা যাবে না। এসএসকেএম হাসপাতালের সামনে কোনও বিঘ্ন ঘটানো যাবে না।
আরও পড়ুন: Primary Teacher Cancellation | ৩৬ নয়, ৩২ হাজার চাকরি বাতিল, সংশোধন করে জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
প্রশ্ন উঠছে, হ্যারিকেন হাতে মিছিল কেন? আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার তাঁদের হাতে হ্যারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে। তাই সেই হ্যারিকেন নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় মিছিল করতে চান তাঁরা। কিন্তু এই মিছিল নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ডিএ আন্দোলনকারীদের মিছিল মুখ্যমন্ত্রীর পাড়া ছুঁয়ে গিয়েছিল। এরপরই কালীঘাটের বেশ কয়েকটি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। দু’মাস পর্যন্ত সেই নির্দেশ জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছিল। তাহলে কীসের ভিত্তিতে গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থীদের হ্যারিকেন মিছিলের অনুমতি দেওয়া হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, সোমবারই সাংবাদিক বৈঠকে চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রোজ রোজ রাস্তা আটকে মিটিং-মিছিল করা হচ্ছে। যার ফলে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। আমিও একবার সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম। মিছিল গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে কারওর যাতে সমস্যা না হয়, তা ভাবতে হবে। আমরা মিছিল করলে রাস্তার একধার থেকে করি। প্রচুর লোক হলেও তা আধঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়। আর ওরা পাঁচশো লোক নিয়ে চার-পাঁচ ঘণ্টা লাগিয়ে দেয়। ‘