নয়াদিল্লি: ভারত (India) জনসংখ্যায় চীনকে (China) ছাপিয়ে গেল। এই মুহূর্তে ভারতের জনসংখ্যা (Population) ১৪২ কোটি ৯০ লক্ষ। চীনের থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ বেশি। রাষ্ট্রপুঞ্জের পপুলেশন ফান্ডের (UN Population Fund) হিসেবে ভারত জনসংখ্যায় চীনকে ইতিমধ্যেই ছাপিয়ে গিয়েছে। তাতে আরও জানানো হয়েছে, ভারতে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সের সংখ্যা ৬৮ শতাংশ। নতুন ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী চীনের বর্তমান জনসংখ্যা ১৪২.৫৭ কোটি। রাষ্ট্রপুঞ্জের ওয়র্ল্ড পপুলেশন ড্যাশবোর্ডে দেখা যাচ্ছে ২৫ শতাংশ ভারতের জনসংখ্যা ০ থেকে ১৪ বছর বয়সী। ১০ থেকে ১৯ বছরের বয়স হচ্ছে ১৮ শতাংশ। ২৬ শতাংশের বয়স হচ্ছে ১০ থেকে ২৪ বছর। ৬৮ শতাংশের বয়স হচ্ছে ১৫ থেকে ৬৪ বছর। ৬৫ শতাংশের উপরে বয়স হচ্ছে মাত্র ৭ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কেরল (Kerala) ও পঞ্জাবে (Punjaub) প্রবীণ মানুষের সংখ্যা বেশি। উত্তরপ্রদেশ (Uttar pradesh) ও বিহারে (Bihar) নবীন প্রজন্মের সংখ্যা বেশি। বিভিন্ন সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতের জনসংখ্যা আরও বাড়তে চলেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের পপুলেশন ফান্ডে (The United Nations Population Fund-UNFPA), ভারতের প্রতিনিধি আন্দ্রেয়া ওজনার (Andrea Wojnar) বলেন, ভারত ১৪০ কোটি মানুষের দেশ। তাকে দেখা হোক ১৪০ কোটি সুযোগ হিসেবে। ২৫৪ মিলিয়ন যুব সম্প্রদায়ের দেশ হওয়ায় এটা উদ্ভাবন, নতুন চিন্তার দেশ হোক। মেয়েরা সম শিক্ষা ও স্কিল, প্রযুক্ত শিক্ষার সুযোগ পায় সেটা দেখতে হবে। মেয়েরা যখন উপযুক্ত শিক্ষা পাবে তখনই অনন্তের সম্ভাবনা খুলে যাবে। ভারত চীনকে ছাপিয়ে গেল বলে এই প্রথম রাষ্ট্রপুঞ্জের এই তথ্য উঠে এল। একটি অংশের মতে, চীনের এক সন্তান নীতির জন্য চীন জন্ম নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। সেজন্য সেখানে আর সেভাবে সংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: Meta Layoffs | মেটায় দ্বিতীয় দফার গণছাঁটাই, তালিকায় ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-হোয়াটসঅ্যাপ কর্মীরা
উল্লেখ্য, ভারতে শেষ আদমশুমারি বা জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। প্রতি দশ বছর অন্তর যা হওয়ার কথা। কিন্তু, করোনা অতিমারীর কারণে ২০২১ সালে যা হয়নি। তা হলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যেত। সেখানে ভারতের জনসংখ্যা কতটা বেড়েছে তা জানা যেত। কোন বয়সের সংখ্যার আধিক্য রয়েছে জানা যেত তাও। তবে এটা ঠিক এক সন্তান নীতি গ্রহণ করার পর চীনের জনসংখ্যা কমেছে। যার জেরে দ্বিতীয় স্থানে নেমে এল চীন এমনটাই মনে করা হচ্ছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে আমেরিকা। সেখানে জনসংখ্যা হল ৩৪ কোটি।