কলকাতা: বৃহস্পতিবার বাজে কদমতলা ঘাটে গঙ্গা আরতির (Ganga Aarti) সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গঙ্গা দেবীর মূর্তিতে পুজো দিলেন তিনি। পরে সংক্ষিপ্ত ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) বলেন, গঙ্গা মাকে প্রণাম জানালাম। সবাই ভালো থাকুক। বাংলার মা-মাটি-মানুষকে গঙ্গা মা যেন ভালো রাখেন। এদিন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ফিরহাদ হাকিম সহ মন্ত্রীসভার একাধিক সদস্য। ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা সহ বেশ কয়েকজন পদস্থ আমলাও।
পরে পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, শুক্রবার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণামতোই প্রতিদিন গঙ্গা আরতি হবে এক ঘণ্টা করে। শীতকালে সন্ধ্যা ৬ টায় এবং গরমকালে সন্ধ্যা ৭টায় আরতি শুরু হবে, চলবে এক ঘণ্টা।
আরও পড়ুন:Fourth Pillar: তিন রাজ্যের নির্বাচন আর চার রাজ্যের উপনির্বাচন কী জানাল?
গঙ্গা পুজোকে ঘিরে বাঙালিদের মধ্যে আগ্রহ এবং আবেগ কম কিছু নয়। এই রাজ্যে গঙ্গা আরতির তেমন কোনও ব্যবস্থা ছিল না বলে মানুষকে ছুটে যেতে হত ভিনরাজ্যে। গত বছর উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের প্রচারের ফাঁকে মুখ্যমন্ত্রী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে বারানসীর ঘাটে গিয়েছিলেন। সেখানে গঙ্গা আরতিতে অংশও নেন তিনি। ফিরে এসে কলকাতার মেয়রকে নির্দেশ দেন, কলকাতার গঙ্গার ঘাটেও বারানসীর ধাঁচে গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা করতে হবে। সেইমতো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করে কলকাতা পুরসভা। শুরু হয় গঙ্গার ঘাট সাজিয়ে তোলার কাজ। বাজে কদমতলা সহ শহরের বেশ কয়েকটি ঘাটকে গঙ্গা আরতির জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। ঘাটগুলিতে আরতির জন্য পৃথক মঞ্চ করা হয়েছে। আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে, রয়েছে ভক্ত এবং দর্শকদের বসার ব্যবস্থাও। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক সেরে মুখ্যমন্ত্রী বাজে কদমতলা ঘাটে চলে যান গঙ্গা আরতির সূচনা করার জন্য।
বিরোধীরা অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর এই গঙ্গা আরতিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। রাজ্য বিজেপির বক্তব্য, বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে গঙ্গার ঘাটে আরতি দেখেই মুখ্যমন্ত্রী তা নকল করার জন্য কলকাতায় এই আরতি চালু করলেন। বাম-কংগ্রেসের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খুশি করতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই আরতির নাটক। তবে বিরোধীরা যাই বলুক না কেন, আরতিকে কেন্দ্র করে গঙ্গার ঘাটে এদিন সূচনা পর্বেই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।