নয়াদিল্লি: দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতকে নিয়োগ করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু৷ বর্তমান প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনার স্থলাভিষিক্ত হবেন ললিত৷ আগামী ২৬ অগস্ট প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেবেন রমনা৷ তারপরই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বিচারপতি ললিত৷ কিছুদিন আগে এন ভি রমনা তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে ললিতের নাম সুপারিশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় আইন ও বিচারমন্ত্রী কিরণ রিজেজুর কাছে৷
তবে প্রধান বিচারপতি হিসেবে খুব অল্পদিনই ওই পদে থাকবেন বিচারপতি ললিত৷ আগামী ২৭ অগস্ট তিনি সুপ্রিম কোর্টের ৪৯ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন৷ তারপর মাত্র ৭৪ দিন ওই পদে থাকবেন তিনি৷ তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ৮ নভেম্বর পর্যন্ত৷ ওই দিন ললিতের অবসর নেওয়ার কথা৷
১৯৫৭ সালের ৯ নভেম্বর জন্ম ইউ ইউ ললিতের। আইনজীবী হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৮৩ সালে, বম্বে হাইকোর্টে। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সেখানে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করার পর তিনি দিল্লি চলে আসেন। ২০০৪-এর এপ্রিলে তিনি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত হন। ২জি স্পেকট্রাম মামলায় তাঁকে সিবিআইয়ের বিশেষ কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল৷
তাঁর আগে ১৯৭১ সালে দেশের ত্রয়োদশ প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এস এম সিক্রি। তিনিও একেবারে আইনজীবী থেকে প্রধান বিচারপতির আসনে বসেছিলেন। ২৭ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ হবে, তার আগের দিনই বর্তমান প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণার কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
২০১৪ সালের ১৩ অগাস্ট দুঁদে কৌঁসুলি ইউ ইউ ললিত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন। তারপর থেকে বেশ কিছু বিতর্কিত ও বহু চর্চিত রায় তিনি দিয়েছেন। এর মধ্যে এদেশে ইতিহাস সৃষ্টিকারী রায় ছিল তাৎক্ষণিক তিন তালাকের রায়। পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে ৩-২ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় তিন তালাককে অবৈধ ও অসাংবিধানিক হিসেবে রায় দেওয়া হয়।
এছাড়াও কেরালার ত্রিবাঙ্কুরের রাজপরিবারের ধনসম্পদশালী পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের অধিকার নিয়ে তাঁর রায়দানও ছিল চমকপ্রদ। রাজপরিবারের দখল সংক্রান্ত মামলায় তাঁর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে একটি ট্রাস্ট গঠনের নির্দেশ দেয়। যে ট্রাস্ট মন্দির পরিচালনা করবে এবং ঐশ্বর্যসহ সম্পত্তির দেখভাল করবে।