Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeAttack on Indian Consulate | ভারতীয় দূতাবাসে অগ্নিসংযোগের তীব্র নিন্দা আমেরিকার
Array

Attack on Indian Consulate | ভারতীয় দূতাবাসে অগ্নিসংযোগের তীব্র নিন্দা আমেরিকার

Follow Us :

সান ফ্রান্সিসকো: আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকো শহরে ভারতীয় দূতাবাসে খলিস্তানপন্থীদের আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করল মার্কিন প্রশাসন। গত মার্চ মাসের পর আমেরিকার বুকে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আঘাত হানল খলিস্তানপন্থীরা। অগ্নিসংযোগের খবর পেয়েই স্থানীয় দমকলবাহিনী আগুন নিভিয়ে ফেলে। আগুনে কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। দূতাবাস কর্মীদের কেউ আহত হননি। মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার টুইটে বলেছেন, ভারতীয় দূতাবাসে এ ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা করছি। এদেশে দূতাবাস অথবা বিদেশি কূটনীতিকদের উপর হামলা জঘন্যতম অপরাধ বলে গণ্য হয়।

খলিস্তানি গোষ্ঠী এ নিয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে। হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যু বদলা হিসেবে তারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি। দূতাবাসের বাইরে থেকে ভিডিয়োটি এমনভাবে তোলা হয়েছে যাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে তারা বার্তা ছড়াতেই রেকর্ডিং করেছে। রবিবার গভীর রাতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | Basanti | ফের গুলি বাসন্তীতে, জখম তৃণমূল কর্মী

উল্লেখ্য হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুর পর থেকেই খলিস্তানপন্থীরা ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়ী করে প্রচার চালাচ্ছে। কানাডা ও আমেরিকায় এর বিরুদ্ধে বেশ কিছু প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। এর প্রতিবাদে ভারত সরকার কানাডাকে দ্রুত খলিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। টরোন্টো এবং ভ্যাঙ্কুভারে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসে মিছিল করে আসার ছক রয়েছে খলিস্তানপন্থীদের।

প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে খলিস্তান টাইগার ফোর্সের প্রধান এবং গুরু নানক শিখ গুরুদ্বারের শীর্ষ গুরু হরদীপ সিং নিজ্জরকে গুলি করে খুন করে দুই অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। কানাডার সুরি শহরের গুরুদ্বার সাহিবের ভিতরে এই ঘটনা ঘটে। ৪৬ বছর বয়সি হরদীপ নিজ্জর জলন্ধরের ভর সিং পুরা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। খলিস্তান টাইগার ফোর্সের তালিম, অর্থ সংগ্রহ, যোগাযোগ এবং অপারেশনের কাজে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি। এনআইএ-র একটি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন নিজ্জর। শিখ ফর জাস্টিসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং গণভোটের জন্য সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন।

তদন্তে দেখা গিয়েছে, হরদীপ আপত্তিকর মন্তব্য, আপত্তিজনক পোস্ট শেয়ার করেছেন। এনআইএ-র তথ্য অনুযায়ী, তাঁর করা পোস্টে সবসময় গোষ্ঠী বিভাজন ও হিংসা এবং বৈষম্যমূলক কথা থাকত। ২০১৮ সালে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ভারত সফরের সময় তৎকালীন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং ওয়ান্টেড তালিকায় হরদীপের নাম তুলে দিয়েছিলেন। পঞ্জাবে হিংসাত্মক ঘটনায় তাঁকে পুলিশ দীর্ঘদিন ধরেই খুঁজছিল। নিজ্জরের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিসও জারি হয়েছিল।

RELATED ARTICLES

Most Popular