গত ৪০ বছরের তুলনায় এবার কালীপুজোতে বায়ুদূষণের মাত্রা কমেছে। সোমবার কালীপুজোর দিন দূষণ কমার নিরিখে রেকর্ড সৃষ্টি করল কলকাতা। বায়দূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে কমার কৃতিত্ব রাজ্য সরকারের, এমনটাই দাবি পরিবেশবিদদের। তবে সোমবার সন্ধ্যা থেকে কলকাতা শহরে বাজি কম ফাটলেও রাত বাড়তেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। সন্ধ্যার পরে আর তেমন বৃষ্টি হয়নি। রাত যত বেড়েছে, শব্দবাজি এবং আলোর বাজির দাপটও ততই বেড়েছে বলে নগরবাসীর অভিযোগ।
কালীপুজোতে বায়ুদূষণ রুখতে আগেভাগে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছিল রাজ্য সরকার। তাতে ইতিবাচক ফল মিলেছে। সূত্রের খবর, কলকাতা শহরের বায়ুদূষণ কমাতে কয়েকটি বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছিল। যেমন, কলকাতা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অটো এমিসন চেকিংয়ে যেন জোর দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয় কলকাতা পুলিশ। এছাড়াও প্রশাসন বাতাসে ভাসমান অতিসূক্ষ্ম ধূলিকণার মাত্রা কমাতে ওয়াটার স্প্রিংকলার ব্যবহারকে প্রাধান্য দিয়েছিল। মহানগরীর বায়ুদূষণ প্রতিরোধে এই ব্যবস্থাও কাজে লেগেছে।
পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন, কালীপুজো মেটার পর দেখা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে মহানগরীর বাতাসে অতিসূক্ষ্ণ ধূলিকণার হার ৪০ মাইক্রোগ্রামেরও কম। গত ৪০ বছর ধরে কালীপুজো বা দীপাবলির পরে বাতাসে ভাসমান অতিসূক্ষ্ম ধূলিকণার হার প্রতি এক ঘনমিটারে ৩০০ থেকে ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ছিল। বাজির বারুদের ধোঁয়ার জন্যই দূষণ বাড়ে।
আরও পড়ুন: WhatsApp Down: হোয়াটসঅ্যাপ ডাউন, বিস্তর সমস্যায় ভারত সহ সারা বিশ্বের অ্যাক্টিভ ইউজাররা
এবছর কালীপুজোয় কলকাতা শহরে বায়ুদূষণের হার ব্যাপক কমলেও বায়ুদূষণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে রাজধানী দিল্লির ভূমিকা খুবই খারাপ। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে বাতাসে প্রতি ঘন মিটারে বায়ুদূষণের হার এখন ৩৫০ মাইক্রোগ্রাম থেকে ৪০০ মাইক্রোগ্রাম।
বিশিষ্ট পরিবেশবিদ সৌমেন্দ্রমোহন ঘোষ জানিয়েছেন, প্রতি বছর শীত পড়লেই কলকাতায় বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ে। রাজ্য প্রশাসন দূষণ প্রতিরোধে যে ব্যবস্থাগুলি নিয়েছে তা বলবৎ থাকলে কলকাতায় বায়ুদূষণের হার কমবে। এক্ষেত্রে প্রতি ঘন মিটারে অতিসূক্ষ্ণ ধূলিকণার হার ১০০ মাইক্রোগ্রামের মধ্যে থাকবে।