কলকাতা টিভিতে আয়কর-তল্লাশি নিয়ে হাইকোর্টে মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতির প্রশ্নের মুখে আয়কর দফতরের আইনজীবী। সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায় সময় চেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিল আয়কর দফতর। হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে আবেদনকারীদের অভিযোগকে সামনে এনে বিচারপতির প্রশ্নবাণে কার্যত দিশাহারা হয়ে পড়েন আয়কর দফতরের আইনজীবী।
বিচারপতি নিজামুদ্দিন আয়কর দফতরের উদ্দেশ্যে:
স্থানীয় পুলিশকে না নিয়ে আধা সামরিক বাহিনীর যথেচ্ছাচার কেন?
আয়কর দফতরের আইনজীবী বিপুল কুণ্ডলিয়া: আয়কর আইনে বলা আছে, প্রয়োজনে আধাসেনা নিয়ে তল্লাশি চালানো যায়।
বিচারপতি নিজামুদ্দিন: আইনে ‘প্রয়োজন’ শব্দটির উল্লেখ রয়েছে। আপনাকে প্রথমে স্থানীয় পুলিশের সাহায্য নিতে হবে। যদি স্থানীয় পুলিশ সাহায্য না করে, তাহলে বিকল্প হিসেবে আপনি আধা সামরিক বাহিনীর সাহায্য নিতে পারেন। এক্ষেত্রে স্থানীয় পুলিশের সাহায্য নিলেন না কেন? শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে এত বড় তল্লাশি কেন? সার্চ ওয়ারেন্টে নাম না থাকা সত্ত্বেও সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের তল্লাশির সম্মুখীন হতে হল কেন?
বিপুল কুণ্ডলিয়া: সার্চ ওয়ারেন্ট ছিল।
বিচারপতি নিজামুদ্দিন: যেসব সাংবাদিক, অসাংবাদিক কর্মীরা আবেদনকারী হিসাবে আদালতে এসেছেন, তাঁদের নামে কি সার্চ ওয়ারেন্ট ছিল?
বিপুল কুণ্ডলিয়া: না।
বিচারপতি নিজামুদ্দিন: তাহলে তাঁদের কেন তল্লাশির আওতায় নিয়ে এলেন? আপনারা তাঁদের নোটিশ দিয়েও জানাননি। তাহলে কি করে আয়কর আইন অমান্য করে আপনারা তল্লাশি চালালেন? সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করে আপনারা কি করতে চাইছিলেন? কি গোপন করতে চাইছিলেন?
বিপুল কুণ্ডলিয়া: সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধের বিষয়টি আমাকে খোঁজ নিয়ে জানতে হবে।
বিচারপতি নিজামুদ্দিন: মহিলা কর্মীদের তল্লাশির সময় কেন কোনও মহিলা আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন না?
বিপুল কুণ্ডলিয়া: হ্যাঁ ছিলেন।
বিচারপতি নিজামুদ্দিন: আপনাদের সব নথি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন। কোন তথ্যের ভিত্তিতে আপনাদের আধা সামরিক বাহিনী নিয়ে তল্লাশি চালাতে হল সে বিষয়ে কোনও তথ্য আপনাদের কাছে আছে কি? থাকলে আদালতে জমা করুন।
বিচারপতির কোনও প্রশ্নেরই সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পেরে সময় প্রার্থনা করেন আয়কর দফতরের আইনজীবী। ২৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি।