কাঠমাণ্ডু: নেপালের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় কেউ আর জীবিত নেই। সোমবার সকালে নেপাল সেনাবাহিনী একথা জানিয়ে বলে, তাদের উদ্ধারকার্যে কাউকে জীবিত উদ্ধার করা যায়নি। প্রসঙ্গত, ৭২ জন সহ ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি বিমান কাঠমান্ডু থেকে পোখরা যাওয়ার পথে ভেঙে পড়ে রবিবার।
বিমানটি ভেঙে (Plane Crash) পড়ার পর আগুন ধরে যায়। তাতেই মৃত্যু হয় তাঁদের। আগুন ধরে যাওয়ায় উদ্ধার কাজে দেরি হয়। বিমানটিতে চার জন রাশিয়ার, একজন আইরিশ, দুজন কোরিয়ার, একজন আর্জেন্তিনা ও একজন ফ্রান্সের নাগরিক, ৫৩ জন নেপালি যাত্রী ছিলেন। দুজন শিশুও ছিল যাত্রীদের তালিকায়। ঘটনায় মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ড (Prachanda)।
নেপালের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক (Civil Aviation Authority of Nepal) বা (CAAN) জানিয়েছে, ইয়েতি এয়ারলাইন্সের(Yeti Airlines) ৯ এন-৯এনসি-এটিআর-৭২ বিমানটি কাঠমাণ্ডু থেকে রবিবার সকাল ১০ টা বেজে ৩৩ মিনিটে ছাড়ে। পেখারা (Pokhara) বিমানবন্দরের কাছে সেতি নদীর (Seti River) ধারে পাহাড়ের খাদে সেটি ভেঙে পড়ে। ছাড়ার ২০ মিনিট পরেই সেটি ভেঙে পড়ে। ওই বিমানসংস্থার পক্ষ থেকে গতকাল সুদর্শন বারতাউলা জানিয়েছিলেন, কেউ বেঁচে রয়েছেন কি না বিমানটিতে আমরা এখনই বলতে পারব না। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল সেটি খতিয়ে দেখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: আজ সাগরদিঘিতে মমতা, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে চাঙ্গা মুর্শিদাবাদ তৃণমূল
যে ভারতীয়রা ওই বিমানের মধ্যে ছিলেন তাঁদের নাম হল অভিষেক কুশওয়া, বিশাল শর্মা, অনিল রাজভর, সোনু জয়সওয়াল, সঞ্জয় জয়সওয়াল। ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। কী কারণে বিমানের ওই দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সেখানকার সরকার। উল্লেখ্য, নেপালের থেকে যাওয়া বিমানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (European Union)। কর্মীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৩ সালে ওই নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান পরিবহণ সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করার পরই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ওই সিদ্ধান্ত নেয়।