সিওল: নতুন উদ্যোগে বৈঠকে বসতে চলেছে দুই দেশ দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea) ও জাপান (Japan)। তারই মধ্যে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়ল উত্তর কোরিয়া (North Korea)। বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর কোরিয়া একটি অন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) ছুড়েছে। যা অতিক্রম করেছে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার। যে ঘটনায় সাড়া পড়েছে। একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল (Ballistic Missile) ছোড়া হয়েছে। তা নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। কোরিয়ান পেনিনসুলার পূর্ব উপকূলে তা ছোড়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফও এই তথ্য জানিয়েছেন। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ওই ক্ষেপণাস্ত্র কোরিয়ান পেনিনসুলার ৫৫০ কিলোমিটার পূর্বে ছোড়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এক হাজার কিলোমিটার পথ ঘুরে এই ক্ষেপণাস্ত্র সেখানে পড়েছে।
এখন দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা সমরাস্ত্রের মহড়া চালাচ্ছে। গত পাঁচ বছরে তাঁদের সেরা সামরিক মহড়া এটি। উত্তর কোরিয়া গত ১৮ ফেব্রুয়ারি লম্বা রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। এক বছরের মধ্যে এটা নিয়ে চতুর্থবার অন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া। এই সপ্তাহে একাধিক পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তবে তা স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। রবিবার উত্তর কোরিয়া একটি সাবমেরিন থেকে দুটি ক্রুজ মিসাইল ছুড়েছিল। পরের দিন দক্ষিণ হোয়াংহে রাজ্য থেকে দুটি অল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। জাপানে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োলের বৈঠকে যোগ দিতে আসার কথা। দুই দেশই আমেরিকার সহযোগী বলে পরিচিত। টোকিয়ো যাওয়ার আগে ইয়ুন বুধবার আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে বলেন, এই মুহূর্তে বাড়তি প্রয়োজন হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা। বলা হচ্ছে, এক দশকে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।
আরও পড়ুন: Civic Volunteer Teacher | সিভিক ভলান্টিয়ারদের অঙ্ক-ইংরেজি পড়ানোতে ‘না’, জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (Joint Chief of Staff) জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূল থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়ে পিয়ংইয়ং। পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল তাঁর দেশের সেনাবাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। গত ১৩ মার্চ দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এই যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করে। ওই মহড়ার নাম ‘ফ্রিডম শিল্ড ২৩’। এটি গত পাঁচ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় আকারে যৌথ সামরিক মহড়া। এই মহড়া নিয়ে প্রথম থেকেই তীব্র আপত্তি জানিয়ে আসছে পিয়ংইয়ং। তাই তারা মহড়া শুরুর আগে-পরে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে শক্তি প্রদর্শন করেছে। এমনটাই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।