Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeআন্তর্জাতিকPakistan Hikes Petrol Price | অবস্থা আরও করুণ, পেট্রোল-কেরোসিনের দাম আরও বাড়ল...

Pakistan Hikes Petrol Price | অবস্থা আরও করুণ, পেট্রোল-কেরোসিনের দাম আরও বাড়ল পাকিস্তানে

Follow Us :

ইসলামাবাদ: দেশে চরম অর্থনৈতিক সঙ্কট (Economic Crisis) চলছে, পাকিস্তানের মুদ্রার মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে পতনের সম্মুখীন, এই অবস্থায় মুদ্রাস্ফীতিতে (Inflation) জেরবার পাক নাগরিকদের উপর আরও চাপ বাড়ল। কার্যত দেউলিয়া (Bankrupt) হয়ে পড়া পাকিস্তানে তেলের দাম বেড়েছে। লিটার প্রতি ১০ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে পেট্রোলের (Patrol) দাম। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আগামী দিনে আরও করুণ অবস্থা আসতে চলেছে। 

লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১০ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায়, পাকিস্তানে এখন এক লিটার পেট্রোলের দাম ২৮২ টাকা। সেদেশের অর্থমন্ত্রী ইশক দার (Finance Minister Ishaq Dar) গভীর রাতে দেশবাসীর উদ্দেশে লাইভ ঘোষণায় (Late-night Live Address) পেট্রোলের দাম বাড়ার কথা ঘোষণা করেন। ঘোণনায় তিনি বলেছেন, ডিজেল এবং লাইট ডিজেল অয়েলের (Diesel and Light Diesel Oil) দাম বাড়ানো হচ্ছে না, যা ছিল আপাতত তাই থাকছে। শুধুমাত্র পেট্রোলের দাম বাড়ানো হলো। ডিজেল এবং লাইট ডিজেল অয়েলের মূল্য পাকিস্তানে এই মুহূর্তে যথাক্রমে ২৯৩ এবং ১৭৪.৬৮ টাকা। 

আরও পড়ুন: Mexico Gunman Attack | মেক্সিকোর ওয়াটার পার্কে বন্দুকবাজের হামলা, মৃত শিশু সহ ৭

পাকিস্তানে কেরোসিনের (Kerosene) দাম আকাশ ছোঁয়া। এই অবস্থায় তার দাম বাড়ানো হয়েছে। সেদেশে এক লিটার কেরোসিন তেলের দাম ৫.৭৮ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৮৬.০৭ টাকা। পাক অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, রবিবার (১৬ এপ্রিল) রাত ১২ থেকে নতুন মূল্য কার্যকর হবে। পেট্রোল ও কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে দার বলেছেন, বিগত ১৫ দিনে আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়াম পণ্যের (Petroleum Product) দাম বেড়েছে। সেই কারণে দাম সংশোধনের (Revisions) প্রয়োজন ছিল। এখানে উল্লেখ্য, অর্গ্যানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম কান্ট্রিস (Organisation of the Petroleum Exporting Countries – OPEC+) চলতি মাসের গোড়ার দিকে ঘোষণা করেছিল, তারা উৎপাদন কমাচ্ছে। তারপরই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ে।  

পাকিস্তান এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল

গত বছরের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির (Flood Situation) পর থেকে পাকিস্তাবে চরম অর্থনৈতিক সঙ্কট চলছে। কার্যত দেউলিয়া হয়ে পড়া অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পাকিস্তানের প্রয়োজন ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ। পাক সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (International Monetary Fund – IMF) কাছে ঋণের জন্য তদ্বিরও করেছে। আইএমএফ কিছু শর্ত দিয়েছে, তা যতদিন না পূরণ হচ্ছে, ততদিন কোনও রকম আর্থিক সাহায্য জুটবে না। বিশেষ করে পুরনো ঋণের অর্থ এখনও শোধ দিতে পারেনি পাকিস্তান। পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে যে অর্থ দাবি করছে, তা ২০১৯ সালে আইএমএফ কর্তৃক মঞ্জুর করা ৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্যাকেজের অঙ্গ। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বাহ্যিক ঋণখেলাপির হাত থেকে বাঁচতে পাকিস্তানের এই অর্থ দরকার। 

পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ গত শনিবার (১৫ এপ্রিল) জানিয়েছেন, সেনা প্রধান জেনারেল অসীম মুনির (Army Chief General Asim Munir) দুই মুসলিম দেশ সৌদি আরব (Saudi Arabia) এবং আরব আমির শাহি (United Arab Emirates – UAE) থেকে অরথ সাহায্য আনতে বড় ভূমিকা পালন করেছেন। আইএমএফ তাদের শর্তাবলীতে বলেছিল, বৈদেশিক ঋণ কিংবা বিনিয়োগ আনতে পারলে, তবেই পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি এটাও বলা হয়েছে, দেশের মানুষের উপর আরও কর আরোপ করতে হবে। 

গত মার্চে পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৩৫ শতাংশষ, যা সেদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, চলতি মাসে মুদ্রাস্ফীতি ৫০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। কারণ খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। এই টালমাটাল অবস্থার মধ্যে, আইএমএফ তাদের পূর্বাভাসে চলতি অর্থবর্ষে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ থেকে ০.৫ শতাংশে নামিয়ে দিয়েছে। চরম অর্থসঙ্কটে ভোগা পাকিস্তানের ভাঁড়ারে এখন ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular