কাঠমাণ্ডু: ঘটনার ঘনঘটায় একই বিন্দুতে ২০০৬ এবং ২০২৩। মাঝখানে কেটে গিয়েছে ১৬টি বছর। বিমান (Plane) চালাতে গিয়ে নেপালে (Nepal) ২০০৬ সালে মৃত্যু হয়েছিল স্বামীর। ২০১০ সালে একই ভাবে বিমান চালাতে গিয়ে নেপালেই মৃত্যু হল স্ত্রীর। অদ্ভুত সমাপতন (Pilot Couple Death)। রবিবার পোখরাতে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল অঞ্জু কাথিওয়াড়ার (৪৪) (Anju Kathiwada)।
২০০৬ সালে বিমান চালানোর সময় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল তাঁর স্বামীর । তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, স্বামী দীপক পোখরেলের (Dipak Pokhrel ) স্বপ্ন পূরণ করবেন তিনি। কিন্তু, কাছে কোনও টাকা ছিল না। স্বামীর মৃত্যুতে বিমার যে টাকা পেয়েছিলেন তা দিয়ে পাইলট হওযার প্রশিক্ষণ নেন। তারপর ওই পথে পা বাড়ান। প্রথম চাকরি পান ইয়েতি এয়ারলাইন্সে ২০১০ সালে। ইতিমধ্যে ৬৪০০ ঘণ্টা তিনি আকাশে কাটিয়েছেন। পাইলট দম্পতির কথা বিমান কর্মীর মুখ মুখে ফিরছে।
আরও পড়ুন: U19 World Cup: দুরন্ত শেফালি! আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জয় ভারতের
ইয়েতি এয়ারলাইন্সের (Yeti Airlince) এটিআর ৭২ (ATR 72) বিমানটিতের সহ ইন্স্ট্রাক্টর পাইলট (Instructor Pilot) ছিলেন অঞ্জু। ওই এয়ারলাইন্সের পক্ষে সুদর্শন বারতৌল্লা বলেন, অঞ্জুকে য়খনই দায়িত্ব দেওয়া হত তিনি সবসময় পজিটিভ ছিলেন। প্রস্তুত থাকতেন। এখনও বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে তাঁকে চিহ্নিত করা যায়নি। মনে করা হচ্ছে, তিনি আর বেঁচে নেই। যেহেতু বিমানটির কোনও যাত্রীরই বাঁচার সম্ভাবনা নেই। ৭২ জন মোট যাত্রী ছিলেন।
উল্লেখ্য, কাঠমান্ডু (Kathmandu) থেকে বিমানটি ছেড়েছিল। পোখরা (Pokhra) বিমানবন্দরে অবতরণের আগে সেটি সেতি (Seti) নদীর খাদে ভেঙে পড়ে। আগুন ধরে যায়। তাতেই ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নেপালে পার্বত্য এলাকায় খারাপ আবহাওয়ার জন্য প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এখনও পর্যন্ত সাড়ে তিনশো মানুষের সেখানে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে।