কলকাতা: ২০১৪ সালের টেটে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় মঙ্গলবার সিবিআই (CBI) রিপোর্ট পেশ করল আদালতে । রিপোর্টে ব্যাপক বেনিয়মের ইঙ্গিত মিলেছে। সিবিআই ওই রিপোর্টে বলেছে, নকল ওয়েবসাইট তৈরি করে প্যানেলের বাইরে লোক নিয়োগ করা হয়েছে। অকতৃকার্যদের উত্তীর্ণ হিসেবে দেখিয়ে নিয়োগ করা হয়েছে। রিপোর্টে আরও অনিয়মের উল্লেখ করা হয়েছে। এ নিয়ে এদিন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বক্তব্য আদালতে জানানোর কথা ছিল। কিন্তু এদিন আরও প্রার্থী মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন জানান। আদালত সবাইকে এই মামলায় যুক্ত হওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
মঙ্গলবার প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি (Primary Recruitment Corruption) সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) এজলাসে। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬, ২০২০, ২০২২ ও ২০২৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ হয়েছে। আদালত এদিনের পর্যবেক্ষণে বিষয়টি উল্লেখ করে জানিয়ে দেয়, এই টেট মামলার ফল যদি নেতিবাচক হয় তাহলে এর উপর ভিত্তি করে হওয়া সব নিয়োগ মামলা অস্তিত্ব হারাবে। ফলে গত চার দফায় যে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষক প্রাথমিকে নিয়োগ হয়েছে, তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হবে বলে আশঙ্কা আইনজীবীদের। আগামী ৮ সপ্তাহ পরে মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে সব পক্ষকে হলফনামা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: চাকরি বাতিল মামলায় মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ
এদিকে প্রাথমিকের মামলার শুনানি শেষে সিপিএম সাংসদ এবং আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যকে (Lawyer Bikash Ranjan Bhattacharya) ঘিরে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ (Primary Job Seekers Protest)। বিকাশ এজলাস থেকে বের হতে তাঁকে ঘিরে স্লোগান দিতে শুরু করেন প্রাথমিকের বিতর্কিত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, বিকাশের জন্যই চাকরি হারাতে হচ্ছে অনেককে। তিনি চাকরি খেয়েছেন। বিকাশ অবশ্য কোনও কথা না বলে বেরিয়ে যান। পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।
অন্য খবর দেখুন