নয়াদিল্লি: এসএসসির চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court ) সাময়িক স্বস্তি মিলল রাজ্য সরকারের। সুপার নিউমেরিক পদ তৈরির প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মীদের সিবিআই (CBI) প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারবে বলে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। ২০২২ সালের ৫ মে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই বাড়তি পদ অনুমোদিত হয়। আদালত বলেছিল, প্রয়োজনে মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পারবে সিবিআই। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের এই অংশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে বলেছে, সিবিআই আপাতত কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না। তবে বাকি ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্ত চলবে বলে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে। চাকরি বাতিলের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার, ৫ মে।
এদিন সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, এখন ভোট চলছে। এই সময় সিবিআই তদন্ত করে কোনও পদক্ষেপ করলে গোটা মন্ত্রিসভারই জেলে চলে যাওয়ার একটা আশঙ্কা রয়েছে। হাইকোর্ট এমন নির্দেশ দিয়েছে, যা কার্যকর করা অসম্ভব। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। এরপরই শীর্ষ আদালত সুপার নিউমেরিক পদের তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, প্যানেলের বাইরে থেকে নিয়োগ করা হয়েছে। এটা তো পুরো জালিয়াতি। আট হাজার বেআইনি চাকরি দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন মন্ত্রিসভা সুপার নিউমেরিক পদ সৃষ্টির অনুমোদন দিল চাকরি বেআইনি জেনেও। এদিন মামলার শুনানি হয় বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় ৪২ ডিগ্রি, ৬০ বছরের রেকর্ড ভেঙে তছনছ
গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বে়ঞ্চ রায় দেয়, এসএসসির নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশের শিক্ষক এবং গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে মোট ২৫, ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল হল। ২০১৬ সালের এসএসসিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছিল বলে মামলা হয়। জল গড়ায় হাইকোর্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বিচার ব্যবস্থা এবং বিচারপতিদের একাংশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এটা বিজেপির বিচারালয়। মুখ্যমন্ত্রী চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে যাচ্ছি। এসএসসি ছাড়াও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, রাজ্য সরকার, চাকরিহারারা আলাদা করে মামলা করেছে সু্প্রিম কোর্টে।
দেখুন ভিডিও