আসানসোল এবং কলকাতা: অবশেষে প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করে খালি হাতেই ফিরতে হল পুলিশকে (Police)। কম্বল-কাণ্ডে (Blanket Distribution) নাম জড়ানোয় আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Ex-Mayor of Asansol Jitendra Tiwari) স্ত্রী চৈতালিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তাঁদের ফ্ল্যাটে যায় পুলিশ। কিন্তু ফ্ল্যাট তালাবন্ধ থাকায় পুলিশ অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে আসে। আসানসোলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে হুড়োহুড়ির কারণে পদপিষ্ট হয়ে এক নাবালিকা (Minor) এবং দুই মহিলার (Women) মৃত্যু হয়। ওই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিল বিজেপি (BJP)। পুলিশে দায়ের করা এফআইআরে জিতেন্দ্র, চৈতালি-সহ কয়েকজন বিজেপি নেতার নাম রয়েছে। চারজনকে পুলিশ গ্রেফতারও করে।
এদিন বেলা দশটা নাগাদ মহিলা থানার ওসি সমেত বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার জিতেন্দ্রর বাড়ি যান। তাঁরা অবশ্য সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি। এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে্ (High Court) মামলা করেন জিতেন্দ্রর স্ত্রী চৈতালি। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের অযথা হেনস্তা করছে। সেই মামলার সূত্রেই পুলিশ চৈতালির বাড়ি গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: Taj Mahal: তাজমহল বাজেয়াপ্ত করবে বিজেপির আগ্রা পুরসভা? টাকা মেটানোর নোটিস কর্তৃপক্ষকে
তৃণমূলের (TMC) অভিযোগ, পুলিশের অনুমতি ছাড়াই আসানসোলের রামকৃষ্ণডাঙাল গ্রামে বিজেপি শিবচর্চা এবং কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠান করে। ছোট জায়গায় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের জমায়েত হয়। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি কয়েকজনকে কম্বল দিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে চলে যান। তারপরই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিনজনের। তৃণমূলের রাজ্য মুথপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেন, শুভেন্দুকেও এই মৃত্যুর দায় নিতে হবে। বিষয়টি গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত।