কলকাতা: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রতিবাদী মহিলাদের দৈহিক গঠন এবং গায়ের রং নিয়ে প্রশ্ন তুলল এবার তৃণমূল। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী (Narayan Goswami ) বুধবার বলেন, আদিবাসীদের দৈহিক গঠন এবং গায়ের রং দেখে বোঝা যায় যে, তারা তফসিলি সম্প্রদায়ের কি না। কিন্তু সন্দেশখালির যে সব প্রতিবাদী মহিলা গত কয়েকদিনে ক্যামেরার সামনে এসেছেন, তাঁদের গায়ের রং কিন্তু ধবধবে ফর্সা। তৃণমূল নেতার দাবি, সিপিএম আইসিডিএস কিংবা আশা কর্মীদের সাজিয়ে নিয়ে এসেছিল। নারায়ণের অভিযোগ, গোটাটাই সিপিএম এবং বিজেপির পরিকল্পিত চক্রান্ত।
সভাধিপতি বলেন, আমরা দলীয় স্তরে এ নিয়ে তদন্ত করছি। দরকার হলে পুলিশ এবং প্রশাসনেরও সাহায্য নেব। আমরা ১৮ ফেব্রুয়ারি জনসভাতেও এসব কথা তুলে ধরব। তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে বিরোধী দলগুলি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নারায়ণের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় তফসিলি কমিশনের কাছে। সিপিএমের রাজ্যসভা সদস্য বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, তফসিলি আইন অনুযায়ী এখনই নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ৬ জন অধ্যাপক
এদিকে আগামিকাল বৃহস্পতিবার সিপিএমের এক প্রতিনিধিদল সন্দেশখালি যাচ্ছে। বুধবার দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এ কথা জানিয়ে বলেন, সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে আমাদের আন্দোলন চলবে। বিজেপি এবং তৃণমূল এই ঘটনায় সাম্প্রদায়িক তাস খেলার চক্রান্ত করছে, যাতে আসল বিষয় থেকে দৃষ্টি ঘোরানো যায়। বিজেপি আবার আগামিকাল সমস্ত জেলায় এসপি অফিসের সামনে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এদিন বসিরহাটে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পুলিশের অত্যাচারে অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে বিরোধী নেতার অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার পথে নামবে বিজেপি। দলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল এদিন ওই কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে আগামিকালও সন্দেশখালি নিয়ে উত্তাল হতে পারে রাজ্য রাজনীতি।
অন্য খবর দেখুন