বাসন্তী: বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর পাঁচ জনের। সূত্রের খবর, মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের তিন সদস্যের। তিন ভাই হারান গায়েন, নিশিকান্ত গায়েন, দিবাকর গায়েনের মৃত্যু হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। এরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। অন্ধ্রপ্রদেশে ধান রোয়ার কাজে যাচ্ছিলেন তাঁরা। এর আগেও একাধিক বার গিয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবার যাওয়ার পথেই দুর্ঘটনা কবলে পড়েন তাঁরা। এছাড়াও বাসন্তীর ছড়ানেখালি গ্রামের আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের নাম বিকাশ হালদার, সঞ্জয় হালদার। এই দুর্ঘটনায় বাসন্তী ও গোসাবা এলাকার আরও বহু মানুষ জখম হয়েছেন।
অন্যদিকে কাকদ্বীপের ২ জনের মৃত্যু হয়েছে রেল দুর্ঘটনায়। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিল কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নম্বর এলাকার বাসিন্দা মহিউদ্দিন। গতকাল বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ কেড়ে নেয় তাঁর। মূলত প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার কাকদ্বীপ নামখানা পাথরপ্রতিমা সহ বিভিন্ন এলাকার শ্রমিকেরা ভিন রাজ্যে যায় কাজের উদ্দেশ্যে। কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ৭-৮ জনের একটি টিম ভিন রাজ্যে যাচ্ছিলেন বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: Coromandel Express Accident | দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, করবেন জরুরি বৈঠকও
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন বারে বারে ফোন করতে থাকে মহিউদ্দিন সহ বাকিদের। পরবর্তী সময়ে তাঁদের ফোনে ফোন আসে মহিউদ্দিন আর নেই। এছাড়াও এই ঘটনায় প্রাণ যায় নামখানার হালিম মোল্লা নামে এক যুবকের। তিনিও ভিন রাজ্যে ঠেকা শ্রমিকের কাজ করতেন। ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে রওনা দিয়েছিলেন হালিম।
এদিকে পূর্ব বর্ধমানে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। এর মধ্যে রয়েছে কাটোয়ার করুই গ্রামে দু’জন, কৈথন গ্রামের একজন, ভাতারের ভাটাকুল গ্রামের একজন, বরসুলের একজন। একইসঙ্গে শোকের ছায়া ডুয়ার্সের চা বলয়ে। জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা চা বাগানের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে এই ট্রেন দুর্ঘটনায়। মৃত ওই যুবকের নাম সাগর খাড়িয়া, বয়স ৩০। সে মেটেলি ব্লকের নাগরাকাটা চা বাগানের ফুটবল লাইনের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এদিকে মালদহের বামনগোলা থানার ভোমরইল গ্রামের বাসিন্দা নিত্যম রায়ের মৃত্যু হয়।