মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) ডাকে সাড়া দিয়ে বিধানসভায় তাঁর ঘরে যাওয়ায় দলের অন্দরে ব্যাপক ক্ষোভ ও অস্বস্তির মুখে পড়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সৌজন্য দেখাতে গিয়ে তিনি দলকে বিপাকে ফেলেছেন বলেও দলের বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠছে। সেই অস্বস্তি ঝেড়ে ফেলার জন্য এখন মরিয়া হয়ে উঠেছেন শুভেন্দু। তাই মমতার বিরুদ্ধে তিনি আরও বেশি আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এই আবহেই বিরোধী দলনেতার অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির (BJP) বর্ষীয়ান নেতা এবং দলের প্রাক্তন রাজ্য সহ সভাপতি রাজকমল পাঠক। তাঁর মতে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিধানসভায় তাঁর ঘরে শুভেন্দুর দেখা করা নিয়ে দলের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে ভুল বার্তা যাচ্ছে। তাঁরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। সেই ভুল বা বিভ্রান্তি দূর করার জন্য শুভেন্দু কিংবা দলের কোনও কেন্দ্রীয় নেতা সাংবাদিক বৈঠক করে বিষয়টি ব্যাখ্যা করুন। তাঁরা সংবাদমাধ্যমে জানান, ওই দেখা করা নিয়ে যে সব খবর সামনে আসছে, তা ঠিক নয়। রাজকমল এ ব্যাপারে দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Tamluk Cooperative society polls: তমলুকে ফের সমবায় ভোটে বাম-বিজেপি জোট, ৬ সদস্যকে বহিষ্কার সিপিএমের
মমতার বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে মঙ্গলবারই বিধানসভার লবিতে শুভেন্দু একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেছেন। ১৯৫৬ নামের ওই পুস্তিকাতে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। বিজেপিতে যোগ দেওযার পরে গত ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর নেতৃত্বে যে সব আন্দোলন হয়েছে, তার বিবরণ রয়েছে ওই পুস্তিকায়। তৃণমূল সরকার তাঁকে কেমন করে পদে পদে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছে, তাঁর বিরুদ্ধে কত মিথ্যা মামলা করা হয়েছে, তারও উল্লেখ রয়েছে তাতে। শুভেন্দু বলেন, নন্দীগ্রামে মমতাকে আমি ১৯৫৬ ভোটে হারিয়েছি। সেই জ্বালা থেকে তিনি আমার পিছনে লেগে রয়েছেন। যদিও বিষয়টি এখন আদালতের বিচারাধীন।
এদিন বিধানসভায় রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে দিল্লিতে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে। বিজেপি সদস্যারাও প্রস্তাব সমর্থন করেছেন। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শাসকদলের সাত এবং বিজেপির পাঁচজন সদস্য দিল্লি যাবেন। শুভেন্দু পরে বলেন, লিখিত প্রস্তাব আসার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাব। আমাদের বিধায়কদের কোনও বৈঠকে ডাকা হয় না। কোনও সরকারি অফিসার আমাদের ফোন ধরেন না। আমরা এই প্রতিনিধিদলে শামিল হব কি না, তা সবাই মিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
শুভেন্দুকে কটাক্ষ করেছেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বর্তমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ওদের মধ্যে পুরনো সম্পর্ক। উনি মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে যেতেই পারেন। কেউ কালীঘাটে গিয়ে প্রণাম করেনষ উনি বিধানসভায় গিয়ে প্রণাম করেছেন।
এদিকে শুভেন্দুর পুস্তিকা নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ টুইটে লিখেছেন, রাজ্য সরকার আপনার বিরুদ্ধে কত মামলা করেছেন, তা নিয়ে পুস্তিকা ছাপিয়ে ভালোই করেছেন। কিন্তু তাতে নারদায় আপনার বিরু্দ্ধে সিবিআই তদন্তের কোনও উল্লেখ নেই কেন। রাজ্য প্রশাসনে, তৃণমূল দলে আপনার এবং আপনার পরিবারের সদস্যদের কেমন অবস্থান ছিল, সেটাও বলুন।
Ok Mr. Adhikari, you published a book with the cases filed against you by the State. Why is the case filed against U by the CBI in Narada Scam not there?
Also, Pl include all the positions you and your family held in the State Govt. administration and the party!!#adhikaripvtltd— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) November 29, 2022