নয়াদিল্লি: বিজেপি (BJP) বিরোধী ঐক্যের পদক্ষেপ আরও এক ধাপ অগ্রসর হল। বিরোধী জোটের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মেগা বৈঠক কবে, কোথায় হবে, তা দু-একদিনের মধ্যে চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়ে দিলেন জেডিইউ সভাপতি লালন সিং (Lalan Singh)। সোমবার বিকেলে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের সঙ্গে বৈঠক করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে বিজেপি বিরোধী জোট কীভাবে করা যায়, সে ব্যাপারে দুই দলের নেতাদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়। পরে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল এবং জেডিইউ সভাপতি লালন সিং সাংবাদিকদের বলেন, বিরোধী ঐক্য নিয়ে দুই দলের নেতাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। খুব শীঘ্রই বিরোধীদের মেগা বৈঠক হবে। সেখানে যত বেশি সম্ভব বিরোধী দলগুলিকে হাজির করানোর চেষ্টা করা হবে। বৈঠকের দিন, সময় দুএকদিনের মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে।
বিজেপি বিরোধী জোটের ব্যাপারে এবার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি এর আগে নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করে যান। একই দিনে নীতীশ লখনউতে গিয়ে কথা বলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ সিং যাদবের সঙ্গে। নীতীশের কথা হয়েছে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গেও। তবে এই প্রস্তাবিত বিরোধী জোটে নবীনের দল বিজেডি থাকবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তিনি জাতীয় স্তরে এখনও এনডিএর শরিক। নীতিশের সঙ্গে বৈঠকের পর নবীন বলেন, এই আলোচনায় বিরোধী জোট নিয়ে কোনও কথা হয়নি। একই কথা বলেন নীতিশ কুমার। নবীন বলেন, নীতীশ কুমার আমার দীর্ঘদিনের সহকর্মী।
আরও পড়ুন: Adani Share Rise | আদানি উত্থানে বাজারে নবজোয়ার?
মঙ্গলবার তৃণমূল নেত্রী মমতার সঙ্গে কথা বলতে কলকাতায় আসছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সুপ্রিম কোর্ট রায় দেওয়ার পরেও দিল্লির আমলাদের উপর খবরদারি করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অর্ডিন্যান্স জারি করেছে। সব বিরোধী দলই তার প্রতিবাদ করেছে। ওই অর্ডিন্যান্স রাজ্যসভায় পাশ করানো বিজেপির পক্ষে সহজ হবে না। কারণ রাজ্যসভায় বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। কেজরিওয়াল চাইছেন, সব বিরোধী দল ওই অর্ডিন্যান্সের প্রতিবাদ করে যদি তা রাজ্যসভায় আটকে দিতে পারে, তবে তা লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীদের বড় হাতিয়ার হবে।
এর আগে নীতীশ কুমারকে মমতা প্রস্তাব দেন, বিরোধীদের মেগা বৈঠক যেন বিহারে হয়। কারণ বিহার থেকেই সর্বোদয় নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণের কংগ্রেস বিরোধী আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। তখন কথা হয়েছিল, ১৭ কিংবা ১৮ মে ওই বৈঠক হবে। কিন্ত নানা কারণে তা হয়নি। মমতার প্রস্তাব, যে রাজ্যে যে আঞ্চলিক দল শক্তিশালী, সেই রাজ্যে তাদের এগিয়ে রাখা হোক। একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দিতে হলে কংগ্রেসকেও কিছু ছাড়তে হবে। কিন্তু মমতার এই প্রস্তাব কংগ্রেসের পক্ষে কতটা গ্রহণীয় হবে, সেটা নিয়েও সংশয় রয়েছে। তবে সোমবার কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সদর্থক হয়েছে বলেই জেডিইউ নেতাদের দাবি।