লন্ডন: ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক্সে (Olympics) ক্রিকেটকে (Cricket) অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না তা নিয়ে নেতিবাচক খবর এসেছিল ক’দিন আগেই। নিরাশ হয়েছিলেন ক্রিকেট ভক্তেরা। কিন্তু ফের আশার কথা শোনা গেল। জানা গিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক্স আয়োজনকারী কমিটিকে ছয় দেশের পুরুষ এবং মহিলাদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC)। এও জানা গিয়েছে, এ নিয়ে অলিম্পিক্স কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে অক্টোবর। গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে যদি ব্যাট-বলের লড়াই অন্তর্ভুক্ত হয় তবে কী কী হতে পারে, আসুন দেখে নেওয়া যাক।
১) ক্রিকেট এখনও মুষ্টিমেয় দেশের খেলা। ফুটবলের (Football) মতো ব্যাপ্তি তার নেই। আইপিএল (IPL) যতই পৃথিবীর সবথেকে লাভজনক ক্রীড়া ইভেন্ট হোক না কেন, আন্তর্জাতিক আঙিনায় তার করুণ দশা। ইউরোপ (Europe), আমেরিকার (America) অনেক দেশ এখনও ক্রিকেটের নামই জানে না। গ্লোবাল স্পোর্ট হিসেবে উঠে আসতে তার অনেক পথচলা বাকি। এই পথচলা ত্বরান্বিত হবে যদি অলিম্পিক্সে ক্রিকেট ঢুকে পড়ে।
আরও পড়ুন: Erling Haaland: ১৯ ম্যাচে চারটে হ্যাটট্রিক! ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর রেকর্ড ভাঙলেন এর্লিং হালান্ড
২) ভারতীয় উপমহাদেশের (Indian Sub-Continent) মানুষ ক্রিকেট পাগল। এ বাদে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইংল্যান্ডে ক্রিকেট দেখে মানুষ। ওই পর্যন্তই। আইসিসির (ICC) চেষ্টা সত্ত্বেও বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা একেবারেই নেই। অলিম্পিক্সে অন্তর্ভুক্ত হলে বিশ্বের সমস্ত দেশের নজরে পড়বে ক্রিকেট। ক্রীড়া নৈপুণ্যের ক্ষেত্রে অলিম্পিক্সকে সর্বোচ্চ মাপকাঠি বলে ধরা হয়। সেখানে ক্রিকেট এসে পড়লে অন্যান্য দেশ তাতে আকর্ষিত হবে।
৩) অনেক বছর ধরেই ২২ গজের যুদ্ধকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করেছে আইসিসি। তার জন্য আয়োজন করা হয়েছে ইভেন্টের। যেমন মার্কিন মুলুকে শচীন তেন্ডুলকার, শেন ওয়ার্ন, ব্রায়ান লারা, যাক কালিস, ওয়াসিম আক্রমের মতো একাধিক কিংবদন্তিদের নিয়ে ম্যাচের আয়োজন হয়েছিল। কিন্তু তাতে যা দর্শক এসেছিলেন তাঁরা ওই ভারতীয় উপমহাদেশেরই মানুষ। খাঁটি আমেরিকানের ক্রিকেটে কোনও আগ্রহ নেই। অলিম্পিক্সে ঢুকে পড়লে, ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে আপ্রে আইসিসির।