মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- ওদের মেরুদণ্ডের একদিকে ইডি, একদিকে সিবিআই।ওসব দেখিয়ে আমাদের ভয় পাওয়ানো যাবে না।
- দেউচা পাঁচামি, তাজপুর বন্দর, নতুন সিলিকন ভ্যালি- বাংলায় প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। ১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে দেউচায়।
- দেশ ছেড়ে হাজারের উপর শিল্পপতি চলে গিয়েছেন। এটাই বিজেপির উন্নয়নের মডেল! লোকসভায় একটিও আসন বিজেপিকে জিততে দেওয়া যাবে না।
- বিজেপি একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাবে না। আমি নিশ্চিত। কিছু ভুঁইফোড় নেতা তৈরি করছে। কারা যাচ্ছে দেখুন। সবদিকে নজরে রাখুন
- ১৭ হাজার শিক্ষকের চাকরি তৈরি আছে। মামলার জন্য চাকরি দেওয়া যাচ্ছে না।
- বিজেপি সব জায়গায় সরকার ভাঙছে। আমাদের হারানোর চেষ্টা করেছিল, পারেনি।
- রাজ্যের কৃষকদের আয় বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। সার্টিফিকেট দিয়েছে কেন্দ্র।
- তৃণমূল সরকার থাকলে শিক্ষাশ্রী, যুবশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, সমব্যথী, বিনামূল্যে রেশন সব পাবেন।
- সিপিএমের একটি কাগজ আছে, নাম আর বলছি না। সেখানকার কর্মীদের স্ত্রীরা শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিল। কীভাবে পেয়েছিল?
- বিকাশকে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন ওঁর আমলে কারা জন্ম সার্টিফিকেট পেয়েছিল, সেই ফাইলটা বের করব?
- ৫০টা শিল্পনগরী হচ্ছে। সারা দেশ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা এখানে এসেছে।
- কেন্দ্রীয় রিপোর্টে কী বলছে ? কৃষকদের উপার্জনে বাংলা প্রথম। আমরা গর্বিত। সারা ভারতে ৪৫ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে। বাংলায় ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমেছে।
- আমাদের মুড়ি ফিরিয়ে দাও, নইলে বিজেপি বিদায় নাও।
- বাংলাকে একশো দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। গরিব মানুষ গত সাত মাস ধরে কাজ করে টাকা পাচ্ছেন না।
- বিজেপির বুদ্ধির ঢিপি মরুবৃক্ষ হয়ে গিয়েছে।
- সিপিএমের আমলে ১০-১৫ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি হয়েছিল।
- কলকাতা থেকে সবচেয়ে বেশি কর তুলে নিয়ে যায় কেন্দ্র। চা, কোল ইন্ডিয়া থেকে কর তুলে নিয়ে যায়।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
- এবারের একুশে জুলাইয়ে রেকর্ড ভিড় হয়েছে। এরকম উচ্ছ্বাস আগে কোনওদিন দেখিনি।
- বৃষ্টি আমাদের কাছে শুভ। একুশের সমাবেশে বৃষ্টির হলেই বিরোধীরা গোহারা হেরেছে।
- নিজের করে খাওয়ার জায়গা তৃণমূল কংগ্রেস নয়।
- এই তৃণমূলে গদ্দার, ধান্দাবাজরা নেই।
- দাদার জল বয়ে টিকিট পাবেন না।
- পঞ্চায়েতে যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রার্থী ঠিক করা হবে।
- তৃণমূল করলে মানুষকে প্রাধান্য দিতে হবে।
- একুশের ভোটের আগে কয়েকটা নকুলদানা নিয়ে ভেবেছিল হারাবে। নিজেরেই বাংলা ছাড়া হয়েছে।
- হয় ঠিকাদারি করুন, না হলে তৃণমূল করুন।
- এক ছটাক জমি বিজেপিকে ছাড়ব না।
- বিজেপিকে আক্রমণ করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ওরা বলেছিল, ভাগ মমতা ভাগ, বাংলার মানুষ মোদি-শাহকে বাংলা থেকে তাড়িয়ে ছেড়েছে। ২০২৪-এ স্লোগান সারা দেশজুড়ে উঠবে ভাগ বিজেপি ভাগ।’
- অগ্নিপথ, নোটবন্দি, বেকারত্ব, অর্থনৈতিক মন্দা, জিএসটি ইস্যুতে বিজেপিকে একহাত নিলেন আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনি বলেন, নোটবন্দি দেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের অর্থনীতি মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছে। দেশের সবচেয়ে লড়াকু, সৎ এবং সফল নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুইল চেয়ারে বসে বিজেপিকে হারিয়েছেন তিনি। ২০২৪-এর গেমচেঞ্জার হবেন দিদিই।
- ইডি-বিজেপি-সিপিএমকে তোপ তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, তৃণমূলের শহীদ সমাবেশ থেকে নজর ঘোরাতে আজ সোনিয়াকে তলব। একই কারণে আজ রাষ্ট্রপতি ভোটের ফল ঘোষণা করা হচ্ছে। মমতার নেতৃত্বেই বিজেপিকে দিল্লি থেকে উৎখাত করা হবে। সিপিএমকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, সিপিএমকে শূন্য করে দিয়েছেন মমতা। বিধানসভায় সিপিএম শুন্য, বাংলা থেকে লোকসভাতেও শূন্য।
- একুশের সভামঞ্চ থেকে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের। তিনি বলেন, বিজেপির বিকল্প একমাত্র মমতা। এটা গোটা দেশ বুঝে গিয়েছে। মমতাকে উপহাস করে মায়ের ভোগে চলে গিয়েছে সিপিএম। একদিন বিজেপিরও তাই গতি হবে।
- বেলা বাড়তেই ভিড় বাড়ছে ধর্মতলা চত্বরে। হাওড়া-শিয়ালদহ স্টেশন, শ্যামবাজার, কলকাতা স্টেশন, সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক, হাজরা-সহ শহরের নানা প্রান্ত থেকে ধর্মতলার দিকে মিছিল করে আসছেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা।
- যাতে কারও কোনও সমস্যা না হয়, সে জন্য শহরের নানা প্রান্তে সহায়ক বুথ করা হয়েছে। রাস্তায় রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ফের বাড়ছে, তাই দলের তরফ থেকে মাস্ক বিলি করা হচ্ছে। পাশাপাশি সচেতন করা হচ্ছে কর্মী-সমর্থকদের।
- সকাল ১০টা থেকে ধর্মতলার মঞ্চে কর্মসূচি শুরু হবে। বেলা ১২টায় বক্তৃতা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাষণ দেবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
- প্রতি বারের মতো এবারেও ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ তৈরি হয়েছে তিন ধাপের। মঞ্চে ওঠার জন্য তিনটি গেট করা হয়েছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চৌরঙ্গি রোডের গেট দিয়ে মঞ্চে আসবেন। এক নম্বর গেট দিয়ে শুধুমাত্র ভিআইপিরা ঢুকবেন।
- দুই এবং তিন নম্বর গেট দিয়ে দলের সাংসদ, বিধায়করা এবং বিশিষ্টরা ঢুকবেন। শহীদ পরিবারের জন্যও অন্যান্য বারের মতো আলাদা মঞ্চ করা হয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, মূল মঞ্চে প্রায় ৩৫০ জনের বসার ব্যবস্থা থাকবে।
- দলের তরফে জানানো হয়েছে, ধর্মতলা ও পার্ক স্ট্রিট চত্বরে ১৫ টি জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হচ্ছে। এছাড়াও শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হবে সাধারণ মানুষের দেখার জন্য। মঞ্চে দলের শীর্ষ নেতারা ছাড়া থাকবেন সাংসদ, বিধায়ক, বিশিষ্টরা। তৃণমূলের অফিসিয়াল ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে। এছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পেজ থেকেও সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
- গোটা শহরকে ঘিরে ফেলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তায়। শহরের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন কলকাতা পুলিসের ৩০ জন ডেপুটি কমিশনার। রয়েছেন ৭০ জন অতিরিক্ত কমিশনার, ১৫০ জন ইনস্পেক্টর-সহ ৭৫০ জন পুলিস আধিকারিক। মোতায়েন করা হয়েছে সাড়ে তিন হাজার পুলিস কর্মী।
- রয়েছে লালবাজারের কুইক রেসপন্স টিম। হাওড়া-শিয়ালদহ-কলকাতা স্টেশনকে নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। ধর্মতলায় সভামঞ্চের আশপাশে রয়েছে বম্ব স্কোয়াড। চারটি জোনে ভাগ করে ধর্মতলার সমাবেশকে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রাখছে লালবাজার। মঞ্চের কাছেই রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল।