শিলিগুড়ি: বুধবার শিলিগুড়ির কাওয়াখালির মাঠে রাজ্য সরকার আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনী (Bijaya Sammelani) অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। আপাতত গোটা রাজ্যের (West Bengal) বিভিন্ন জেলায় পালন করা হচ্ছে বিজয়া সম্মিলনী। সামনের বছর মার্চে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Vote) আগে আপাতত শারদোৎসব পরবর্তী জনসংযোগ কর্মসূচি হিসাবেই পালন করছে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। বিভিন্ন জেলায় দলের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকছেন রাজ্য স্তরের নেতারা। সর্বশেষ বিধানসভা ভোটে (Assembly Election) লোকসভায় (Loksabha Election) হারানো জমি বেশ খানিকটা পুনরুদ্ধার করা গেলেও আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না রাজ্যের শাসক শিবির। ঠিক সেকথা মাথায় রেখেই এবার শিলিগুড়ির বিজয়া সম্মিলনীতে এবার উপস্থিত থাকঠেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
ইতিমধ্যেই হ্যাঙ্গার টেন্ট দিয়ে গোটা মাঠটিকে ঢেকে ফেলা হয়েছে। ওইখানে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা মানুষজনের বসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মূল মঞ্চের দুপাশে দুটো মঞ্চ করা হয়েছে। মূল মঞ্চে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, তথ্য-সম্প্রচার দফতরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনদের উপস্থিত থাকার কথা। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্য সচিব ও অন্যান্য সরকারি আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন। আর দুপাশের দুটি মঞ্চে উত্তরবঙ্গের আটটি জেলার জনপ্রতিনিধি সহ অন্যান্য অতিথিদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:Weather Forecast: ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, কালীপুজো, দীপাবলিতে ভাসবে কলকাতা?
মূল মঞ্চকে ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। এই বিজয় সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার লোকের জনসমাগম হতে চলেছে। ওই অনুষ্ঠানে পাহাড় থেকে সমতল সব জায়গার থেকেই মানুষজন আসবেন। গোটা উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলার ক্লাব, বিভিন্ন সংগঠন, বণিকসভা ছাড়াও প্রচুর শিল্পী-কলাকুশলীদের অনুষ্ঠানে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দলের নেতা-কর্মীরা অপেক্ষায় আছেন মুখ্যমন্ত্রী আজকের এই অনুষ্ঠান থেকে আমজনতাকে কি বার্তা দেন। সাম্প্রতিক সময়ে উত্তরবঙ্গে বেশ কিছু জায়গায় নানা ভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদের আওয়াজ উঠেছে। তাতে সায় দিয়ে বিজেপি নেতাদের একাংশের আলাদা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি ঘিরে যথেষ্ট বাকবিতন্ডা হয়েছে। ঘটনাচক্রে বুধবারই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের খসড়া ভোটা তালিকা প্রকাশ হবার কথা। কাজেই এইসব ব্যাপার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন সে দিকেই চোখ রয়েছে আমজনতার।