প্রসূন মুখোপাধ্যায়, শালবনি: ‘মানবজমিন’ (Human Land) সিনেমার (Cinema) মূল সুর হচ্ছে, মানুষের জমিতে উৎকৃষ্টতার (Exellent) ফসল (Crop) ফলানো। সভ্যতার (Civilisation) আলো (Light) থেকে বঞ্চিত (Deprived) আদিম, প্রান্তিক (Remote) জনগোষ্ঠীকে ‘শিক্ষার আলো’ পৌঁছে দেওয়ার মধ্য দিয়েই তা সম্ভব। এমনটাই মনে করেছেন ওই সিনেমার পরিচালক শ্রীজাত, প্রযোজক রানা সরকারও সিনেমার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্যরা। ওই চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে, স্বর্গে জমি কেনার সখ। অন্যদিকে প্রত্যন্ত এলাকায় টাকার জন্য আটকে যাচ্ছে কচিকাঁচাদের (Children) জন্য স্কুল (School) তৈরির প্রচেষ্টা! গল্পের (Story) সেই ‘প্রচেষ্টা’কেই বাস্তবে রূপ দিতে শ্রীজাত সহ ‘টিম মানবজমিন’ হিসেবে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের কর্ণগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাদুতলা সংলগ্ন পীরচক (Pirchwak) গ্রামটিকে বেছে নেওয়া হয়। শনিবার মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া এবং চুনী কোটাল চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সহযোগিতায় সেখানে ‘মানবজমিন অবৈতনিক বিদ্যালয়’ (Manabjomin Aboitonik School) এর শিলান্যাস হল।
জঙ্গলের (Forest) মাঝখানে ১৩-টি লোধা-শবর (Lodha, Shabar) পরিবারকে নিয়ে গড়ে ওঠা এই গ্রামে পৌঁছয়নি শিক্ষার আলো। শবর জনজাতিরা সভ্যতার এমন অন্ধকারে ছিল যে ব্রিটিশরা পরাধীন ভারতে তাদের গ্রেফতার করার জন্য বিশেষ আইন করেছিল। এখন অনেকেই শিক্ষার পরিবেশে ফিরেছে। পিঁপড়ের ডিম খেয়ে থাকা আমলাশোলের শবরদের দিন তার পরেও অনেক বদলেছে। তবু ওই এলাকাসহ বেশ কিছু জায়গায় ফুটফুটে ছেলেমেয়েদের মধ্যে বেশিরভাগই জঙ্গল পেরিয়ে স্কুলের চৌকাঠ মাড়ায়নি। এর জন্য অবশ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন, পঞ্চায়েত সমিতি থেকে শুরু করে ওই ট্রাস্ট ও রামকৃষ্ণ মিশনের একাধিক সংস্থা।
আরও পড়ুন: Mamata-Shah Meeting: নবান্নের ১৪ তলায় শাহ-মমতা একান্ত বৈঠক নিয়ে চর্চা
এদিন অনুষ্ঠানে ছিলেন কবি ও ওই সিনেমার পরিচালক শ্রীজাত (Srijato), সঙ্গীত পরিচালক জয় সরকার (Jay Sarkar), প্রযোজক রানা সরকার (Rana Sarkar), অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার (Priyanka Sarkar)। ছিলেন সমাজকর্মী দেবপ্রিয়া ঘোষ গোস্বামী, শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ সিংহ, চুনী কোটাল চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সম্পাদক মৃণাল কোটাল। তাছাড়া শিক্ষক ও সমাজকর্মী বিপ্লব আর্য, শেখ ইমরান, শেখর মাহাত ও অন্যান্য বিশিষ্টরা অংশ নেন। সিনেমা আর্টিস্টদের দেখতে ভিড় জমান আশেপাশের মানুষেরা।