হেয়ার কাট থেকে শুরু করে হেয়ার স্টাইলিং কিংবা শ্যাম্পু, কন্ডিশনরার ও চুলের পরিচর্যা, বিউটি এক্সপার্টরা জানাচ্ছেন এই গরমে চুলের এই সব বিষয়গুলো নিয়ে সচেতন না হলে অযথা চুলের সমস্যা বাড়িয়ে তুলবেন। গরমকালে চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে কী করবেন আর কী করবেন না জেনে নিন-
হেয়ার কাট
গরমকাল এলেই অনেকেই লম্বা চুলের মায়া কাটিয়ে ছোট করে চুল কেটে নেন। এদিকে ছোট চুলের সঙ্গে স্টাইলিশ ফ্রিঞ্জ কাট এখন বেশ ট্রেন্ডিং। আর এই ফ্রিঞ্জ কাট আপনার মুখমণ্ডলকে যতই আকর্ষনীয় করে তুলুক না গরমের গোটা কিংবা ব্রণ এই ফ্রিঞ্জ কাটের জন্য নতুন করে গজিয়ে উঠতে পারে। ফ্রিঞ্জ কাট মানেই চুল কপালের ত্বকের সঙ্গে লেগে থাকবে। আর এর ফলে ঘাম, ময়লা সব জমে ব্রণ গজিয়ে ওঠার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে কয়েক গুণ। তাই হেয়ার কাট নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। আবার যাদের চুল বেশ লম্বা তারা যদি আচমকা অনেকটা চুল কেটে ফেলেন তখন ফ্রিজি চুলের বোঝা বাড়ে মাথার ওপর। অন্যদিকে এই গরমে চুল যাতে আরও ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে পড়ে তার জন্য দু’মুখো চুল যাদের তাদের অবিলম্বে চুলের এই অংশ ছেটে ফেলা উচিত।
শ্যাম্পু হয় বেশি, চুলের কন্ডিশনিং হয় কম
প্রচণ্ড গরমে মাথায় ঘাম বসে ধুলো বালির সঙ্গে মিশে চুলের অবস্থা হয় তথৈবচ। ফলে ঘণ ঘণ চুল ধোওয়া ও শ্যাম্পু করাও বেড়ে যায় এই গরমে। আর বেশি করে শ্যাম্পু করা মানেই শ্যাম্পুতে থাকা সার্ফ্যাকট্যান্ট বা খারের জন্য চুলের নিজস্ব তেল নষ্ট হয়ে যায় যা চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অত্যন্ত জরুরী। তাই শ্যাম্পু করার পাশাপাশি কন্ডিশনার লাগানোর ক্ষেত্রে বাড়তি সচেতন হতে হবে। যখনই সম্ভব প্রয়োজনে বাড়তি কিছুক্ষণ মাথায় কন্ডিশনার লাগিয়ে রাখতে পারেন।
যাদের কোকড়ানো চুল তাদের আরও বেশি করে আরও বেশি করে মাথায় ও চুলে কন্ডিশনার লাগিয়ে রাখতে পারেন। কারণ এই মরসুমে কোকড়ানো চুলের সমস্যা বাড়ে আরও কয়েকগুণ। এই সময় বেশি করে হেয়ার স্পা করতে পারেন। এর ফলে চুল প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও আর্দ্রতা পাবে এবং এর ফলে চুলে শক্তি জোগাবে। হাইড্রেশনের প্রয়োজনে মিস্ট কিংবা স্টিম ব্যবহার করতে পারেন। সালোঁতে না গিয়ে বাড়িতেই চুলের যত্ন নিতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত এক বার ডিপ কন্ডিশনিং করা দরকার। মাথার ত্বক শুষ্ক হলে মাথায় লাইট হেয়ার অয়েল মালিশ করতে পারেন।
ত্বকের মতো চুলেরও সান প্রোটেকশন দরকার
ত্বকে যেমন এসপিএফের প্রয়োজন তেমন চুলেরও সান প্রোটেকশন প্রয়োজন। তাই বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় লিভ ইন প্রোডাক্ট বা সেরাম বা হিট প্রোকেক্টার ব্যবহার করতে পারেন। এর ব্যবহারে চুলের ওপর সুরক্ষার একটা আবরণ তৈরি হবে। এই আবরণ চুলকে সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে বাঁচাবে। আবার চুলের জন্য বাজারে আসা নতুন এসপিএফ যু্ক্ত সামগ্রী ব্যবহার করতে পারেন। চুল যদি শুষ্ক হয় তা হলে অয়েল, সিরাম কিংবা লিভ ইন প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন। সাঁতার কাটার সময় এই বিশেষ ধরণের প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন।
(ছবি সৌ: garnier)