চুঁচুড়া: সরকারি খাতায় কোভিডে(Covid) মৃত্যু হয়েছে মায়ের। মৃত্যু শংসাপত্রও (Death Certificate) রয়েছে ছেলের কাছে। মৃত্যুর মাসখানেক আগে কোভিডের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন ওই প্রৌঢ়া। কিন্তু সেই মৃত মায়েরই দ্বিতীয় ডোজের শংসাপত্রও চলে এলো ছেলের হাতে। তবে কি মা বেঁচে রয়েছেন? অসম্ভব হলেও মাঝে মাঝেই নিজের বিবেককে এ প্রশ্নই করছেন ছেলে। আর তা থেকেই সরকারের কাছে মৃত মাকে ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি ছেলের। ভ্যাকসিন বিভ্রাটের ফাঁপড়ে পরে এখন এমনই অবস্থা হুগলীর ডানকুনি থানার দক্ষিণ সুভাষ পল্লীর বাসিন্দা বিভাস দাসের।
তিনি জানান, গত মার্চ মাসে চণ্ডীতলা হাসপাতাল থেকে প্রথম ভ্যকসিন নেন স্বরসতী দাস। মাসখানেক পর বুকে ব্যাথা নিয়ে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। দু’দিন বাদে ওই হাসপাতালেই মারা যান স্বরসতী দেবী। করোনার বিধি মেনে দাহ হয় তাঁর দেহ। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু, গতকাল শনিবার মৃত মায়ের মোবাইল নম্বরে একটি এসএমএস আসে৷
আরও পড়ুন-শনি,রবি ছুটি, সোম থেকে শুক্র খুলবে ক্লাস রুম, জানাল শিক্ষা দফতর
তাতে স্বরসতী দাস করোনার দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন সম্পন্ন হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। আর তা দেখেই চমকে ওঠেন ছেলে বিভাস দাস। মৃত মায়ের ভ্যাকসিন! কার ভুল? কেনই বা ভুল? কোনও উত্তর না পেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কো-উইন পোর্টালে ভ্যাকসিনের শংসাপত্র ও সংগ্রহ করেন তিনি। কিন্তু মৃত মা’কে ভ্যাকসিন দিল কে তার উত্তর এখনও অধরা।
