কোভিডের আতঙ্ক কাটিয়ে সেই কবেই চেনা ছন্দে ফিরেছে জীবন তবে সঙ্গে থেকে গিয়েছে মাস্ক। কারণ কোভিডকে নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও এই করোনাভাইরাসের আতঙ্ক রয়েই গেছে। আর তাই এই গরমেও মুখে মাস্ক লাগিয়ে দিনের বেলা বাড়ির বাইরে বেরোনোর ফলে তৈরি হচ্ছে সমস্যা। মাস্কে ঢাকা অংশে দেখা দিচ্ছে মাস্কনে। বিশেষ করে ঠোঁটের ওপরের অংশে ঘাম জমে গজিয়ে উঠছে গরমের গোটা কিংবা পিম্পল। আর এর ফলে না এখন মাস্ক বেশিক্ষণ পড়তে পারছেন না আবার খুলে রাখতেও পারছেন। তবে বেশ কিছু ঘরোয়া উপায়ে এই পরিস্থিতি থেকে সহজেই রেহাই পেতে পারেন আপনি। যেমন-
মধু দিয়ে পরিচর্যা
মধুর মধ্যে বেশ এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ত্বকের জন্য খুবই লাভজনক। বিশেষ করে মধুর অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি ও অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল কার্যকারিতা রয়েছে এর ফলে ব্রণ বা ঠোঁটের এই অংশের গোটা কম করে আসতে আসতে সারিয়ে তোলে। এমন কি ব্রণ সেরে যাওয়ার পর রেখে যাওয়া দাগ ছোপও পরিষ্কার করে মধু।
কীভাবে ব্যবহার করবেন
ঠোঁটের ওপরে যে অংশ দানা বা ব্রণ রয়েছে তার আশে পাশে ভাল করে মধু লাগিয়ে নিন। এবার হালকা হাতে এই অংশ ভাল করে মালিশ করুন। প্রায় পনেরো মিনিট পর্যন্ত মধু ভাল করে লাগিয়ে রেখে জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। এই ভাবে দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ বার এই ভাবে মালিশ করুন। এই ভাবে টানা তিনদিন চারদিন করলেই দেখবেন ব্রণ কমতে শুরু করবে এবং আসতে আসতে এই অংশের ত্বক সেরে উঠবে।
হলুদ দিয়ে পরিচর্যা
রূপচর্চায় হলুদের ব্যবহার নতুন নয়। হলুদের অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টিব্যক্টেরিয়াল কার্যকারিতা থাকায় এটা ক্লেনজার হিসেবে খুব ভাল কাজ করে। তাই ব্রণ বা ব্রণর ক্ষত থাকলে সেখানে হলুদের পেস্ট তৈরি করে লাগালে উপকার পাবেন। অল্প সময়ের মধ্যেই এর থেকে রেহাই পাবেন।
কীভাবে ব্যবহার করবেন
ঠোঁটের ওপর একটা কিংবা দু’টো ব্রণ থাকে তাহলে ১/ ৪ চামচ হলুদ গুঁড়ো নিয়ে নিন। ব্রণ বেশি থাকলে হলুদের মাত্রা বাড়াতে হবে। এরপর হলুদগুঁড়োর সঙ্গে ৪ থেকে ৫ ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্ট ২০ মিনিট পিম্পল ও আশেপাশের জায়গায় ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ধোওয়ার পর ব্রণর জায়গায় ও আশেপাশে গোলাপ জল লাগিয়ে নিন। এই ঘরোয়া টোটকা অন্তত পাঁচদিন একটানা করে গেলে অবশ্যই উপকার পাবেন। ব্রণ সারবে।
(ছবি সৌ: Unsplash)