কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: এই মুহূর্তে অতিমারির সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা পর্যায়ে আমরা রয়েছি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা (pandemic)। যে ভাইরাস নিয়ে এত ভয়ভীতি, বিশ্বজুড়ে মারণযজ্ঞ, দু-বছর ধরে যার ছোঁয়াচ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছি সর্বক্ষণ, চারপাশে সেই ভাইরাস নিয়েই এ বার প্রতিটা মুহূর্ত কাটাতে হবে (New Omicron)। তবে, ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির ইমিউনোলজিস্ট মনিকা গান্ধী, বর্তমান অতিমারি পরিস্থিতির একটি ইতিবাচক দিকও দেখছেন (Omicron variant)। মনিকার ধারণা, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে মানুষের মধ্যে যে পরিমাণ ইমিউনিটি তৈরি হবে, তাতেই পরাস্ত হবে করোনাভাইরাস। আমরা অতিমারি আবহ কাটিয়ে উঠতে পারব (Covid-19)।
দিন কয়েক আগে বুলবার্গের আর এক রিপোর্টে বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছিলেন, একাধিক মিউটেশনের সংমিশ্রণ কোভিডের ওমিক্রন স্ট্রেনকে আগের তুলনায় দুর্বল করেছে। সেইসঙ্গে ভ্যাকসিন নেওয়ার কারণেও লোকের মধ্যে ন্যূনতম একটা ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে। এই দুইয়ের কারণেই বিষদাঁতের কামড় বসানোর শক্তি হারিয়েছে কোভিডের এই ভ্যারিয়েন্টটি। যদিও সংক্রমণের বিস্ফোরণ ঘটানোর ক্ষমতা রাখে ওমিক্রন।
আরও পড়ুন : Covid variant: ওমিক্রনের থেকেও বেশি সংক্রামক IHU ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলল ফ্রান্সে
ওরিগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির সিনিয়র কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট এরিক রবিনসন জানান, করোনার আগের স্ট্রেনগুলির তুলনায় ওমিক্রনে হাসপাতালে ভর্তির হার তুলনায় অনেকটাই কম। তথ্য বিশ্লেষণ করে আর এক ডেটা বিজ্ঞানী পিটার গ্রাভেন দাবি করেন, লোকজন কোভিড বিধি মেনে চললে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের পিক মুহূর্তে যত মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, ওমিক্রনের শিখর-ছুঁলেও তাই হবে। কোভিড বিধির মধ্যে ভ্যাকসিনেশনকেও রেখেছেন এরিক।
ব্রিটেনের আর একটি সমীক্ষা রিপোর্টে দাবি করা হয়, কোভিডের তৃতীয় ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে, ওমিক্রনে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। ব্রিটেনের হেলথ সিকিওরিটি এজেন্সি, UKSHA-এর রিপোর্টেও পরিসংখ্যান দিয়ে দাবি করা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিডের তৃতীয় ভ্যাকসিন অর্থাত্ বুস্টার ডোজ যাঁদের নেওয়া ছিল, তাঁরা অনেক বেশি সুরক্ষিত ছিলেন। যে কারণে ভারতেও এখনও বুস্টার ডোজ দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন : Lockdown Delhi: দিল্লিতে সপ্তাহান্তে লকডাউন-কারফিউ, এইএমসে ডাক্তারদের ছুটি বাতিল
আমেরিকার মলিকুলার মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এরিক টপলের দাবি, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর ছ’মাসের মধ্যে ওমিক্রন হলে, সে ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের কার্যকরিতা ৫২ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। তবে, বুস্টার ডোজ নেওয়া থাকলে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব বলেই তিনি মনে করেন।