কোভিডের আতঙ্কে মাস্ক ছাড়া বেরোনোর উপায় নেই। মাস্কনের অত্যাচারে মাঝে মধ্যেই মাস্ক খুলে রাখতে হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ছে সংক্রমণের ভয়। ঘামে বা ময়লায় ত্বকের ছিদ্রগুলোর বন্ধ হয়ে গিয়ে সৃষ্টি হয় এই ব্রণ বা অ্যাকন। এদিকে আবহাওয়ার পরিবর্তনে আর্দ্রতার পরিমাণ খানিকটা হলেও কম। তবে এর মানে আপনি ব্রণর হাত থেকে রেহাই পেয়ে গেলেন তা কিন্তু নয়। অনেক ক্ষেত্রে নানা শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে ব্রণ হয়। তবে সেই সমস্যার প্রতিকারের পাশাপাশি ব্রণর বাড়বাড়ন্ত রুখতে এই বিষয়গুলি মেনে চললে উপকার পাবেন। এ যে সংক্রমন আছে তা নিয়ন্ত্রণে রাখাটাও অত্যন্ত আবশ্যক। কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন জেনে নিন-
মুখে হাত দেবেন না
মুখে ব্রণ থাকলে ব্যথা বা চুলকানি হয়। এর ফলে আপনার অজান্তেই হাত চলে যায় ব্যথার জায়গায়। তাই সতর্ক থাকুন। কোনও মতেই হাত দেওয়া যাবে না। এই সতর্কবার্তা এর আগেও আপনি হাজার বার শুনেছেন। তবে মানছেন কি? না মানলে সমস্যা আরও বাড়বে।
বেশি করে জল খান
তৈলাক্ত ত্বক যাঁদের, তাঁরা ব্রণর সমস্যায় ভোগেন বেশি। এক্ষেত্রে শরীরে জলের মাত্রা ঠিক রাখলে আরাম পাবেন। শরীরে জলের অভাব ঘটলে ত্বকে থাকা তৈল গ্রন্থিগুলি আরও বেশি তেল বা সিবাম বার করে এই জলের অভাব মেটানোর চেষ্টা করে। এর ফলে বাড়তি তেল জমে ছিদ্রগুলি বুঝে যায় এবং ব্রণর সৃষ্টি হয়। তাই জল বা ডিক্স ড্রিংক খেলে উপকার হবে।
প্রোসেসড ফুড ও চিনি এড়িয়ে যাওয়া ভাল
শুধু যে আবহাওয়ার তারতম্য, পরিবেশ দূষণ, বাইরের সমস্যার কারণেই ব্রণ হয় তা নয়। শরীরের ভেতরেও বিভিন্ন ক্রিয়ার কাজে হেরফের ঘটলে প্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্রণ বা অ্যাকনের সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত চিনি বা হাই প্রসেসড খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যায়। এর ফলে বেড়ে যায় ইনসুলিন লেভেল। এদিকে ইনসুলিন বাড়লেই শরীরে তেল নিঃসরণ বেড়ে যায়। এর ফলে ব্রণ বা অ্যাকনের সমস্যা আরও বড় আকার নেয়। তাই ব্রণ বা অ্যাকনে হলে এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন।