Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeলাইফস্টাইলDurga Puja 2022: ১০০ পুজোর সাগরে ‘পুজোয় চাই নতুন জামা’ কথার কথা...

Durga Puja 2022: ১০০ পুজোর সাগরে ‘পুজোয় চাই নতুন জামা’ কথার কথা মাত্র

Follow Us :

অর্ণব দত্ত, কলকাতা: মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে উপচে পড়ে ভিড়। এখন দুর্গাপুজোর সময়ে গঙ্গাসাগর শুনশান। পর্যটক হাতেগোনা। আশ্রমের ঘর কিংবা হোটেলের ঘর ফাঁকা পড়ে রয়েছে। তেমন রোজগার নেই টোটোচালকদের। নবমী থেকে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হতে পারে বলে আশাবাদী টোটোচালক হরেকৃষ্ণ জানা। হরেকৃষ্ণ বললেন, যষ্ঠী, সপ্তমীতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টোটো চালিয়ে রোজগার হয়েছে মোটে ১২০ টাকা। 

আবহাওয়া পরিষ্কার। পুজোয় একদিন কলকাতাতে তুমুল বৃষ্টি হলেও গঙ্গাসাগরে বৃষ্টির দেখা নেই। হারউড পয়েন্ট থেকে লঞ্চে চেপে কচুবেড়িয়া। এরপর কচ়ুবেড়িয়া থেকে গঙ্গাসাগর ৩০ কিলোমিটারের পথ। বাসে ঘণ্টাখানেকের রাস্তা। এই এলাকা সাগর থানা এবং সাগর কোস্টাল থানার অন্তর্গত। রাস্তার দু’পাশে বারোয়ারি পুজোর মণ্ডপ। করোনার ধাক্কা সামলে এবছর সাগরে বারোয়ারি পুজোর সংখ্যা অন্ততপক্ষে ১০০টি। তবে গঙ্গাসাগরে বারোয়ারি পুজোর সংখ্যা মোটে দুটি। সাগরের শ্রীধাম সর্বজনীনের পুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শ্রীধাম সর্বজনীনের পুজোর উদ্যোক্তা বীরেশ্বর মণ্ডল জানালেন, এবারে পুজো ৪৫ বছরে পা রাখল। বাজেট ৪ লক্ষ। বীরেশ্বর এও জানালেন, সাগরে যে ১০০টির মতো বারোয়ারি পুজো হচ্ছে এর ভিতর ৪০ থেকে ৫০টি পুজোর বাজেট ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা। বাকিগুলোর বাজেট এর তুলনায় কম।

ঢাক বাজছে গোটা সাগরজুড়ে। পথে যেতে কিংবা সাগরে ঘুরে যত মানুষ দেখা গেল তাদের সিংহভাগেরই পরনে নতুন জামা-শাড়ি, পায়ে নতুন জুতো নেই। কারণ সেই দারিদ্র। সাগরের বাসিন্দাদের জীবিকা অনেকক্ষেত্রে পর্যটকদের আনাগোনার ওপর নির্ভরশীল। যেমন, অটোচালক, দোকানিদের আয় এর উপরই নির্ভর করে। এছাড়া ধান চাষ কিংবা পান চাষই ভরসা।

আরও পড়ুন: Uttar Pradesh-Durga Puja 2022: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড উত্তরপ্রদেশের দুর্গা পুজো মণ্ডপে, মৃত ১২ বছরের শিশু সহ ৩

স্থানীয় ক্লাবগুলির তরফে বস্ত্রদানের আয়োজন করা হয়েছে। নতুন কাপড় নেওয়ার লম্বা লাইনে অপেক্ষমাণ ছেলেবুড়ো নির্বিশেষে। সাগরে বিভিন্ন ধর্মীয় সংস্থার যে ৪০-৫০টি আশ্রম রয়েছে সেখানে দুর্গাপুজো হয় না। ব্যতিক্রম কেবল ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ। ভারত সেবাশ্রমের প্রভু মহারাজ বললেন, ‘আশ্রমে মা দুর্গার মন্দির রয়েছে। প্রতি বছরের মতো সেখানেই পুজো হচ্ছে। তবে আমরা দেবীকে ভাসান দিই না’।

কলকাতা পুজোয় মত্ত। কলকাতা থেকে সাড়ে চার ঘণ্টার মতো পথ পাড়ি দিলেই গঙ্গাসাগর। বালুকাবেলায় সেখানে বালি ঘাঁটছে কচিকাঁচারা, তাস খেলছে কিংবা গল্পগাছা করছে পুরুষরা, লুডোর বোর্ডে নিবিষ্ট মেয়ের দল। ‘পুজোয় চাই নতুন জামা’, এ কথাটা ওদের জীবনে একটা কথার কথা মাত্র।

আরও পড়ুন: Kharge vs Tharoor: সর্বসম্মত প্রার্থী হলেই ভাল হয়, থারুরকে বলেছিলেন খাড়গে

RELATED ARTICLES

Most Popular