Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeলাইফস্টাইলজৌলুস নেই, তবে আজও দুর্গাপুজো চালিয়ে যাচ্ছেন হিন্দু-মুসলিম প্রজারা

জৌলুস নেই, তবে আজও দুর্গাপুজো চালিয়ে যাচ্ছেন হিন্দু-মুসলিম প্রজারা

হানা বাড়ির চেহারা নেওয়া এই জমিদার বাড়ি এখন পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ

Follow Us :

উত্তর দিনাজপুর: নেই সেই জমিদার, নেই জমিদারি প্রথাও। তবে আজও দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) চালিয়ে যাচ্ছেন হিন্দু-মুসলিম প্রজারা। ঐতিহ্যবাহী বাহিন জমিদার বাড়ির (Bahin Raj Bari) দুর্গাপুজো এখন বারোয়ারি দুর্গোৎসব। একসময়ের এলাকার জমিদারের পুজোকে ধরে রেখেছেন রায়গঞ্জের (Raiganj) বাহিন গ্রামের (Bahin Village) বাসিন্দারা।

বিহার (Bihar) সীমান্তের নাগর নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী এই জমিদার বাড়ি। দীর্ঘ অব্যবহার, অযত্ন ও সংস্কারের অভাবে কারুকার্যখচিত প্রকাণ্ড অট্টালিকাটি জীর্ণ দশায় পরিণত হয়েছে। হানা বাড়ির চেহারা নেওয়া এই জমিদার বাড়ি অবশ্য এখন পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ। উত্তর দিনাজপুরের জমিদার বাড়ির পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম পুজো ছিল রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো। সেসময় দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে সাতদিন ব্যাপী যাত্রাপালার আসর বসত। ছিল দশমীর মেলা। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের জন্য থাকত দু’বেলা পাতপেড়ে প্রসাদ খাওয়ানোর ব্যবস্থা। কিন্তু এখন সে সব আর নেই। তবে, জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজোর দায়িত্ব এখন গ্রামের বাসিন্দাদের হাতে। ঐতিহ্যের বাহিন জমিদার বাড়ির পুজো তাই এখন সার্বজনীন। হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে গ্রামের সকল শ্রেণির মানুষ পুরনো ঐতিহ্য আর জমিদারদের নিয়ম মেনে ঠাকুর দালানে পুজোর আয়োজন করে আসছেন।

আরও পড়ুন: শুরু হয়ে গেল কাশিমবাজার রাজবাড়ির দুর্গাপুজো

অবিভক্ত বাংলাদেশের দিনাজপুরের জমিদার রুদ্র প্রতাপ চৌধুরীর জমিদারি ছিল বাহিন, কুমারজল, মাকড়া, মধুপুর, লহুজগ্রাম সহ বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে। বাহিনে নাগর নদীর ধার ঘেঁষে ছিল জমিদারের প্রাসাদোপম অট্টালিকা। প্রায় সাড়ে চারশো বছরের বেশি সময় ধরে বছরের বহু ইতিহাসের সাক্ষী থেকেছে এই জমিদারবাড়ি। চুন-সুরকি দিয়ে তৈরি দেওয়ালের ভাঁজে-ভাঁজে জমে থাকা ধুলিকনা আজও তার প্রমাণ দেয়।

জমিদারদের আমলে সোনার দুর্গা প্রতিমায় পুজো হত। সোনার প্রতিমার নাম ছিলো সিংহবাহিনী। কিন্তু পরবর্তীতে সেই সোনার প্রতিমা চুরি হয়ে যায় বলে দাবি গ্রামবাসীদের। এখন মাটির প্রতিমাতেই সিংহবাহিনীর পুজো হয়ে থাকে। তাই এই পুজো এখন সর্বজনীন। তবে ঐতিহ্যের ধারাকে অব্যাহত রেখে আজও দশমীতে মেলা বসে। আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের এমনকী জেলা ও জেলার বাইরের এবং পার্শ্ববর্তী বিহার থেকে বহু মানুষ আসেন পুজোর মেলায়। আর দশভুজার আবাহনে এই জমিদারদের ঠাকুর দালান হয়ে ওঠে যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পীঠস্থান।

দেখুন আরও অন্য খবর:

RELATED ARTICLES

Most Popular