পুরুলিয়া: আকাশে রোদ-বৃষ্টির ফাঁকে পেঁজা তুলোর মেঘ কিন্তু জানান দিচ্ছে, পুজো চলে এসেছে। উমার আগমনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছ। জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। এদিকে সেজে উঠছে বিভিন্ন জেলাও। পুরুলিয়ার ধীবর সমিতি দুর্গামন্দিরে পুজো এই বছর ৯৭ বছরে পা দিতে চলেছে। শতাধিক বছর হতে চলা এই পুরুলিয়া শহরের এক সর্বজনীন মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে নিচু জাতি হওয়ায় অপমানিত হতে হয় ধীবর সম্প্রদায়ের মানুষদের৷ তারপর নিজে রায় জমি দান করে। পারিশ্রমিকের টাকা জমিয়ে তিল তিল করে গড়ে ওঠে এই মন্দির।
এই বছরও ইতিমধ্যেই পুজোর আমেজ দেখা দিয়েছে এই মন্দির চত্বরে। সেখানে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পর্ব। এবার ২১ ফুটের বিশালাকার দুর্গা মূর্তি গড়া হচ্ছে এই বছর।
আরও পড়ুন: কাউন্টডাউন শুরু, অস্ট্রেলিয়ায়ও যেন এক টুকরো তিলোত্তমার ছোঁয়া
বর্তমানে পুরুলিয়া জেলার সবচেয়ে বড়ো মন্দির তো বটেই, দক্ষিণবঙ্গের স্থায়ী দুর্গা মন্দির গুলির মধ্যে অন্যতম স্থান লাভ করেছে পুরুলিয়ার ধীবর সমিতি দুর্গামন্দির৷ প্রতি বছর এই মন্দিরে পুজোর দিনগুলিতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। এছাড়াও পুজোর দিনগুলোতে থাকে নানান ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়জনও। বিশালাকার এই মন্দিরের গায়ে এবং চারপাশে রয়েছে নজরকাড়া সব কারুকার্য।
ষষ্ঠীর দিন মন্দিরে আগমন ঘটে এই মন্দিরে। একাদশীর দিন হয় প্রতিমা নিরঞ্জন। সেই দিন আতশবাজির প্রতিযোগিতা রাখা হয় রাসমেলা ময়দানে। পুজোতে জেলা ছাড়িয়ে ভিন্ন জেলা এবং ভিন্ন রাজ্য থেকে উৎসাহী মানুষজন ভিড় জমান একাদশীর প্রতিমা নিরঞ্জনের দিন। পাশাপাশি পস্থিতি এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য থাকে পুলিশি ব্যাবস্থাও।
অন্য খবর দেখুন: