দেশের জেলে থাকা অসংখ্য বিচারাধান বন্দিদের কথা ভেবে দেখুন। বিভিন্ন রাজ্যের আইনমন্ত্রীদের সম্মেলনে এমনটাই বার্তা প্রধানমন্ত্রীর। শনিবার ওই সম্মেলনে তাঁর বক্তব্যে নরেন্দ্র মোদি জানান, গত আট বছরে অন্তত ৩২ হাজার নানা ধরণের বাধাবিপত্তিকে সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সব বিধিনিষেধকে বাতিল করতে হয়েছে তার কারণ সাধারণ মানুষের জীবনযাপন সহজ করা সম্ভব হবে ওই সব বিধিনিষেধ গুলিকে চিরকালের জন্য নির্মূল করা গেলে।
আইন মন্ত্রীদের পাশাপাশি সমস্ত রাজ্যের আইন বিভাগের সচিবদের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা। মোদির বক্তব্য, এখনও বিভিন্ন রাজ্যে ব্রিটিশ আমলের আইন চালু আছে। দেশের আইনি ব্যবস্থা নিয়মিত এবং পর্যায়ক্রমে পরিমার্জনা প্রয়োজন, সময়ের সঙ্গে বাতিল হয়ে যাওয়া অসংখ্য আইন স্থায়ীভাবে বাতিল করার লক্ষ্যে। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, গত আট বছর ধরে কেন্দ্র নিরন্তর চেষ্টা চালাচ্ছে একেবারেই অপ্রয়োজনীয় আইনগুলিকে যাতে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া যায় সেই লক্ষ্যে।
সম্মেলনে উপস্থিত আইনমন্ত্রীদের প্রতি মোদির আবেদন, বিচারের রায় পাওযার ব্যাপারে অহেতুক দেরি হওয়া আপাতত আইনি ব্যবস্থার কাছে সব থেকে চ্যালেঞ্জ। আপাতত ওই বিষযটি দেশের সসস্ত আইনি বিশেষজ্ঞদের কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী গুজরাতে আপাতত চালু হওয়া সান্ধ্য আদালত-এর প্রসঙ্গও টেনে আনেন। পাশাপাশি আইন প্রনয়ন ও রূপায়নের জন্য দেশীয় ভাষার ব্যবহার আরও বাড়ানোর বিষয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব আরোপ করেছেন নরেন্দ্র মোদি।