নয়াদিল্লি: দেশের জিডিপি (GDP) নিয়ে শাসকদলের নেতাদের প্রায়ই বড় বড় কথা বলতে শোনা যায়। ভারতের জিডিপি একাধিক প্রথম বিশ্বের দেশের থেকে বেশি। জিডিপি মানে গ্রস ডোমেস্টিক প্রডাক্ট (Gross Domestic Product), বাংলায় মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন। ১৪০ কোটি জনসংখ্যার ভারতের মোট উৎপাদন বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। যে বিষয়টা চেপে রাখা হয় তা হল দেশের মানুষের গড় আয়। এক্ষেত্রে অনেক নীচে আমরা। এবার নতুন এক অর্থনৈতিক দুর্গতির কথা শোনাল আন্তর্জাতিক মানিটরি ফান্ড (IMF)।
আইএমএফ জানিয়েছে, ভারত সরকারের ঋণের বোঝা বাড়ছে। এই হারে বাড়তে থাকলে তা দেশের জিডিপি-কেও ছাপিয়ে যাবে যা এক তুমুল অর্থনৈতিক সঙ্কটস্বরূপ। গত বছর ডিসেম্বর মাসে এসেছে আইএমএফ-এর রিপোর্ট, সেই রিপোর্টেই জানা গিয়েছে এই তথ্য। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আইএমএফ ভারতকে (India) সতর্ক করে জানিয়েছে, ভারতের ঋণ দেশের জিডিপি ৩.১৮ লক্ষ কোটি টাকাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: অযোধ্যায় মন্দিরের গর্ভগৃহে বসল রামলালার মূর্তি
ঋণের বোঝা জিডিপিকে ছাড়িয়ে গেলে দেখা দেবে বিপদ। আইএমএফ তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি হবে ভারতের। কারণ জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছতে এবং জলবায়ু ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিস্থিতিতে উন্নতিসাধনে করতে ভারতের এখন প্রচুর অর্থ প্রয়োজন৷ বৃহত্তর বেসরকারি খাতে বিনিয়োগেরও প্রয়োজন রয়েছে।’’
বলা বাহুল্য কেন্দ্রীয় সরকার এই রিপোর্টকে মানতে চায়নি। আইএমএফে ভারতের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর কে ভি সুব্রহ্মণ্যম (KV Subramanyam) জানিয়েছেন, ভারতের ঋণ এবং জিডিপির অনুপাত খুব সামান্যই বৃদ্ধি পেয়েছে। সুব্রক্ষ্মণ্যমের দাবি, ‘দীর্ঘমেয়াদী ঋণের ঝুঁকি বেশি হতে পারে। কিন্তু ভারতের সার্বভৌম ঋণের ঝুঁকি খুবই কম কারণ, তা নেওয়া হয়েছে বেশিরভাগই দেশীয় মুদ্রায়। তিনি আরও জানান, গত দুই দশকে বিশ্ব অর্থনীতি বিপদের সম্মুখীন হলেও ভারতের সরকারি ডেট-টু-জিডিপি (Debt-to-GDP Ratio) অনুপাত ২০০৫-০৬ সালে ৮১ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২১-২২ সালে ৮৪ শতাংশ হয়েছিল। তবে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা আবার ৮১ শতাংশে নেমেছে।
দেখুন অন্য খবর: