Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeCurrent Newsকাজ নেই, অভাবে কিডনি বিক্রি করছে মানুষ

কাজ নেই, অভাবে কিডনি বিক্রি করছে মানুষ

Follow Us :

গুয়াহাটি: মানব অঙ্গ পাচারের বড় চক্র ধরা পড়ল৷ অসমের মানুষকে কলকাতায় এনে শরীর থেকে কিডনি বের করা হত৷ তারপর সেই কিডনি অন্যত্র পাচার হয়ে যেত৷ বর্তমানে কলকাতার ওই কিডনি পাচার চক্রটি গোয়েন্দাদের নজরদারির মধ্যে রয়েছে৷

আরও পড়ুন: যুদ্ধ বিমানবাহী রণতরীতেও করোনার হানা, আক্রান্ত কমপক্ষে ১০০

লকডাউনে কর্মহীম মানুষকে কিডনি বিক্রি করতে প্ররোচিত করা হত। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, প্ররোচিত হয়ে ইতিমধ্যে অসমের ধারামতুল গ্রামের বারোজন নিজেদের কিডনি বিক্রি করেছেন।

দারিদ্রতা, ক্ষুদ্র ঋণ ইত্যাদি পরিশোধ করতে খুব কম টাকায় নিজেদের কিডনি বিক্রি করেছেন বহু মানুষ৷ গত এক বছর ধরে এই ঘটনা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে৷ করোনায় জারি হওয়া লকডাউনে সংসার চালাতে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেই তাঁরা কিডনি বিক্রি করেছেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে৷

আরও পড়ুন: Breaking : কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীদের ডিএ বাড়ছে

কিডনি বিক্রেতাদের মধ্যে ৩৭ বছরের রাজ মিস্ত্রি সুমন্ত দাস গত বছর লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন৷ তাঁর বক্তব্য, ছেলের গুরতর অসুখ ছিল৷ হাতে কোনও কাজ ছিল না৷ ছেলের হার্টের অপারেশনের টাকা জোগাড় করতেই কিডনি বিক্রি করি৷ একটা কিডনির বিনিময়ে আমাকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু মাত্র ১.৫ লক্ষ টাকা পেয়েছি৷ বাকি টাকা দেওয়া হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ৷ এদিকে কিডনি বিক্রির পরে আর ভারী কাজ করতে পারেন না সুমন্ত দাস৷ ক্ষুদ্র ঋণের বই দেখিয়ে তাঁর স্ত্রী সাবিত্রী দাস বলেন, আমাদের তিনটি ছেলে মেয়ে৷ লোনের টাকা নিতে নিয়মিত কোম্পানির লোক আসে৷

আরও পড়ুন: মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা, গণপিটুনিতে মৃত্যু যুবকের

ধারামতুল গ্রাম আসামের মরিগাঁও জেলায়৷ মূলত গুয়াহাটি শহর থেকে প্রায় ৮৫ কিমি দূরে৷ সূত্রের খবর, দক্ষিণ ধারামতুল গ্রামই মানব অঙ্গ পাচারের কেন্দ্রবিন্দু৷ স্থানীয় ভিলেজ ডিফেন্স পার্টি বা ভিডিপি-র সদস্যরা এই পাচার চক্রের সন্ধান পায়৷ গ্রামের এক মহিলা নিজের ও তাঁর ছেলের কিডনি বিক্রির জন্য চুক্তিপত্রে সাই করার সময়  ভিডিপি-র সদস্যরা জানতে পারে৷ তাঁরা পুলিশকে খবর দিলে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়৷ ধৃতদের থেকে পুলিশ বারোটা কিডনি বিক্রির তথ্য উদ্ধার করতে পেরেছে৷ যদিও ওই বারোজনকে প্রতিশ্রুতি মতো টাকা দেওয়া হয়নি বলে জানাগিয়েছে৷

আরও পড়ুন: BREAKING : বীরভূমে বোমা বিস্ফোরণ

মরিগাঁও জেলার পুলিশ সুপার অপর্না নটরঞ্জন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে বেশ কয়েকজন কিডনি দাতাকে খুঁজে পাওয়া গেছে৷ তবে, এই চক্রের মূল পান্ডাকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে৷

আরও পড়ুন: মোদিকে হঠাতে ‘হাত’-এ হাত রাখছেন পিকে! জল্পনা তুঙ্গে

RELATED ARTICLES

Most Popular