কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: সিঙ্ঘু সীমানায় একটি হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি(petals on farmers) করা হয় কৃষকদের মাথায়(Farmers Protest)। এক অনাবাসী ভারতীয় ওই হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করেন। শুক্রবার রাতে এখানেই মিষ্টি বিলি করা হয়। আয়োজন ছিল দেশাত্মবোধক সঙ্গীত ও নাচেরও। সব মিলিয়ে এলাহী ব্যবস্থা ছিল শনিবার।
দীর্ঘ ১৫ মাস পর শনিবার থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। সিঙ্ঘু, টিকরি, গাজিপুর সীমানায় দুদিন ধরেই চলছিল ঘরে ফেরার প্রস্তুতি। ঠিক ছিল শুক্রবারই বিজয় উৎসবের মাধ্যমে ঘরে ফেরার সূচনা করার কথা ছিল। কিন্তু চপার দুর্ঘটনায় প্রতিরক্ষা প্রধান বিপিন রাওয়াত-সহ ১৩ জনের মৃত্যুর কারণে উৎসবের দিন পিছিয়ে শনিবার করা হয়। প্রসঙ্গত শুক্রবার সস্ত্রীক বিপিন রাওয়াতের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে দিল্লিতে।
শনিবার থেকেই সিঙ্ঘু, টিকরি, গাজিপুর প্রভৃতি এলাকায় অস্থায়ী আস্তানা সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। ট্রাক্টর,ঘোড়ার গাড়ি-সহ অন্যান্য যানবাহন নিয়ে আসা হয়েছে। বিছানা, বালিশ, লেপ, তোশক-সহ বিভিন্ন সামগ্রী ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ওইসব যানবাহনে। অস্থায়ী আস্তানা সরানোর সঙ্গে সঙ্গে দিল্লি পুলিশ এতদিন ধরে থাকা ব্যারিকেড সরানোরও কাজ শুরু করে।
আরও পড়ুন: Kisan Andolon News: ঘরে ফেরার পালা আন্দোলনে জয়ী কৃষকদের, দিল্লির সীমানায় উৎসবের মেজাজ
গত ১৫ মাস ধরে এই সব অস্থায়ী আস্তানাই ছিল আন্দোলনরত কৃষকদের ঘরবাড়ি। থাকা খাওয়া, নাওয়া দাওয়া সবই হয় ওইসব আস্তানায়। আস্তানার পরিকাঠামো ভাঙতে গিয়ে অনেক কৃষককে আবেগে কাঁদতেও দেখা যায়। প্রায় দেড় মাস ধরে বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা একসঙ্গে থাকায় একটা আত্মীয়তার বন্ধনও গড়ে উঠেছিল। জয়ের আনন্দ এবং আস্তানা ছেড়ে যাওয়ার বিষাদ এদিন মিলেমিশে এক হয়ে যায়।